যশোরে পর্নোগ্রাফি আইনে গৃহবধূর মামলা, গ্রেপ্তার ৬
যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় এক গৃহবধূর ব্যক্তিগত বিষয় ভিডিও ধারণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং মামলার ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার ভোররাত পৌনে ১টার দিকে ওই গৃহবধূ ছয় জনকে আসামি করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলা করতে থানায় যান। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত ছয় জনকে আটক করে। তবে, ধর্ষণের মামলা না করে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন ওই গৃহবধূ।
মামলার বাদী তিন সন্তানের জননী এবং তার স্বামী ইজিবাইক চালক।
এ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে মণিরামপুর পৌর এলাকার বেগমপুরের মৃত আব্দুর রউফ মোড়লের ছেলে মোস্তফা কামাল (৩৫), মোসলেম মোড়লের ছেলে ফয়সাল হোসেন (২২) ও মৃত হেমায়েত শেখের ছেলে আব্দুল আলী শেখ (৩০), কামালপুর গ্রামের তোরাব গাজীর ছেলে আসাদুল গাজী (২৬) ও শহিদুল মোল্লার ছেলে সাকিব হোসেন (২২) এবং দুর্গাপুর গ্রামের নাজমা খাতুনকে (৪০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি সাকিব মণিরামপুর বাজারের তরকারি বিক্রেতা। গতকাল বিকেলে ঐ গৃহবধূ বাজার করতে গেলে পূর্ব সম্পর্কের জেরে সাকিব তাকে সঙ্গে নিয়ে তাহেরপুর এলাকায় নাজমা খাতুন নামে এক নারীর ভাড়া বাসায় যান।
নাজমার সহযোগিতায় সাকিব ও গৃহবধুর একান্ত সম্পর্কের দৃশ্য কৌশলে মোবাইলে ভিডিও করেন শাকিবের বন্ধু মোস্তফা, ফয়সাল, আসাদুল ও আলী শেখ। পরে সেই ভিডিও দেখিয়ে গৃহবধূকে ব্লাকমেইল করেন আসামিরা।
একপর্যায়ে তারা ভিডিওটি গৃহবধূর দেবরের মোবাইলে পাঠিয়ে দিলে ওই গৃহবধূ ও তার স্বামী ভিডিওর বিষয়টি জানতে পারেন। বিষয়টি রাতেই স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়।
মীমাংসা না হওয়ায় ঐ গৃহবধূ থানায় গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ করলে পুলিশ দ্রুত তৎপর হয়ে অভিযুক্ত সবাইকে আটক করে হেফাজতে নেয়। পরে ধর্ষণের মামলা না করে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করা হয়।
মণিরামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সাকিবের সঙ্গে গৃহবধূর সম্পর্কের ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেছেন গৃহবধূ। তবে ধর্ষণের মামলা করা হয়নি। সব আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হয়েছে আজ। আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।’
মামলায় আসামি হিসেবে শাকিবের নাম থাকলেও ধর্ষণ মামলা কেন করা হল না? আর বিষয়টি ধর্ষণ না হলে আসামি হিসেবে কেন শাকিবের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে? এমন প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি ওসি। তিনি জানান, ভুক্তভোগী পর্নোগ্রাফির মামলা করলে আমাদের কিছু করার নেই।
Comments