তবুও খেলতে চান রোনালদো
বয়সটা ৩৫ ছাড়িয়েছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার সুযোগ খুব বেশি দিন থাকছে না তার। তাই এ সময়ে একটি ম্যাচ মিস করার কষ্টটা যে একটু বেশিই লাগছে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর। ব্যাপারটা এমন হয়েছে যে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েও খেলার জন্য উদগ্রীব হয়ে পড়েছেন এ জুভেন্টাস তারকা। সুইডেনের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে এমনটাই জানালেন দলের প্রধান কোচ ফের্নান্দো সান্তোস।
আগের দিনই ধাক্কা খাওয়ার মত সংবাদটা মিলে। কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন রোনালদো। ফলে বাধ্য হয়েই আইসোলেশনে থাকতে হচ্ছে তাকে। অথচ তার শরীরে কোনো উপসর্গই দেখা যায়নি। ব্যাপারটা যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না রোনালদো। তাই বারান্দায় দাঁড়িয়ে কোচের দৃষ্টি আকর্ষণ করে খেলার ইচ্ছার কথা জানান এ তারকা। সান্তোসের ভাষায়, 'সে (রোনালদো) বলেছে সে খেলতে চায়।'
আর চাইবেনই না কেন রোনালদো? বয়সটা ৩০ পার হওয়ার পর নিজের ধার আরও বেড়েছে। আর প্রতিপক্ষও সুইডেন, যাদের বিপক্ষে বরাবরই অসাধারণ কিছু উপহার দিয়ে এসেছেন তিনি। ২০১৪ বিশ্বকাপের আগে এই সুইডেনের বিপক্ষে কোয়ালিফায়ার ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে দলকে বিশ্বকাপে নিয়েছিলেন। যার উপর ভর করে সে বছর ট্রফি শূন্য থেকেও ব্যালন ডি'অর জিতেছেন। কদিন আগেও তাদের বিপক্ষে জোড়া গোল করে ইতিহাসের দ্বিতীয় ও প্রথম ইউরোপিয়ান খেলোয়াড় হিসেবে আন্তর্জাতিক ম্যাচে ১০০ কিংবা তার বেশি গোল করার কীর্তি গড়েছেন।
'ও পরিস্থিতি খুব ভালোভাবে পরিচালনা করছে। ও ঘরে বসে বলছেন যে ও খেলতে চায়, ও আমাদের সঙ্গে উপরে (তার বারান্দা থেকে) থেকে কথা বলেছে। ও সম্পূর্ণরূপে উপসর্গহীন, পুরোপুরি ঠিক আছে, কোনো লক্ষণ ছাড়াই। ও জানেও না যে ওর কী হয়েছে।' -রোনালদোর শারীরিক পরিস্থিতির কথা জানিয়ে এমনটাই বললেন পর্তুগাল কোচ।
রোনালদো চাইলেও বাস্তবতার কারণেই খেলার সুযোগ থাকছে না তার। আর এটা দলের জন্য বেশ বড় ধাক্কা মানছেন সান্তোস। তবে দলের অন্য খেলোয়াড়দের উপর আস্থা রাখছেন তিনি, 'বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় ছাড়া কোনো দলই ভাল করতে পারে না। তবে এই দলটি ইতোমধ্যেই প্রমাণ করেছে যে কোনো পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সামষ্টিকভাবে সক্ষমতা রয়েছে। যারা খেলবে তাদের উপর আমার সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে।'
উল্লেখ্য, উয়েফা নেশন্স লিগের ম্যাচে আজ বুধবার রাতেই সুইডেনের বিপক্ষে মাঠে নামছে পর্তুগাল। প্রথম লেগে এ দলটির বিপক্ষে রোনালদোর জোড়া গোলেই ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল তারা।
Comments