খুলনায় কিশোরী ধর্ষণ: হাইকোর্টে আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল

ফাইল ফটো

খুলনার দাকোপে ২০০৬ সালে কিশোরী ধর্ষণ মামলায় আসামি ইব্রাহিম গাজীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের এক আদেশে বলা হয়, 'ধর্ষণের ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগীর বক্তব্য বিশ্বাসযোগ্য হওয়ায়, সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতে শাস্তিপ্রাপ্ত ইব্রাহিম গাজীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছে আপিল আদালত। সুতরাং, "মেডিকেল টেস্ট করা হয়নি বা তিনি (ইব্রাহিম) ধর্ষণ করেননি" বলে অজুহাত আনা হলেও, আপিলকারী (ইব্রাহিম) কে খালাস দেওয়া যাবে না।'

বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চে গেল ২৭ ফেব্রুয়ারি দেয়া রায়ে এসব কথা বলা হয়।

ধর্ষণ মামলায় নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইব্রাহিম গাজীর করা আপিলের বিরুদ্ধে এ রায় দেয়া হয়েছিল, যা আজ প্রকাশ হয়েছে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ধর্ষণের শিকার নারীর মেডিকেল রিপোর্ট ছাড়াই দোষীর সাজা সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের রায় ও পর্যবেক্ষণ এই মামলার জন্যই প্রযোজ্য, অন্য সব মামলার জন্য নয়।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এ বিষয়ে চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা দিতে পারে বলেও তিনি জানান।

জান্নাতুল বলেন, '২০০৬ সালে খুলনার দাকোপে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ ইব্রাহিম গাজীকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।'

ট্রাইব্যুনাল ইব্রাহিম গাজীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে এবং জরিমানা অনাদায়ে আরও দুবছর অতিরিক্ত কারাদণ্ড দেন।

ইব্রাহিম তার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে আপিল করলে, ট্রাইব্যুনালের দেওয়া শাস্তি বহাল রেখে চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট একটি সংক্ষিপ্ত রায় দেন।

জান্নাতুল জানান, স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপের কারণে ভুক্তভোগীর মামলা করতে আট দিন দেরি হয়। পুলিশ তাকে সহযোগিতা না করায়, সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল তার মেডিকেল টেস্ট করায়নি।

তিনি আরও জানান, আইন অনুযায়ী ধর্ষণের ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষা করার কথা।

ইব্রাহিমের আইনজীবী আমিনুল হক হেলাল জানিয়েছেন, তিনি এখনও হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় পাননি।

Comments

The Daily Star  | English
bangladesh bank buys dollar

BB buys $313m more from 22 banks

Bangladesh Bank purchased another $313 million from 22 commercial banks in an auction yesterday, reacting to the sharp drop in the US dollar rate.

5h ago