ঠাকুরগাঁওয়ে ডোবা থেকে মা-ছেলে-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার
ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের ভরনিয়া শিয়ালডাঙ্গী গ্রামের একটি বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে মা ও দুই সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জাহিদ ইকবাল। তিনি জানান, ওই তিন জনের মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি।
উদ্ধারকৃত তিন জন হলেন— শিয়ালডাঙ্গী গ্রামের আকবর আলীর স্ত্রী আরিফা আক্তার (২৮), তার মেয়ে আঁখি আক্তার (১০) ও ছেলে আরাফাত রহমান।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘মারা যাওয়া তিন জনের বাড়ির পাশে একটি ডোবায় আজ সকালে আরিফা আক্তার ও মেয়ে আঁখি আক্তারের মরদেহ ভাসতে দেখে গ্রামবাসী তুলতে গেলে ছেলে আরাফাতের ডুবন্ত মরদেহের সন্ধান পায়। পরে পুলিশে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।’
এ বিষয়ে আরিফার স্বামী আকবর আলী জানান, গভীর রাতে ঘুম ভেঙে গেলে তিনি বিছানায় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে না পেয়ে বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করতে থাকেন। বাড়িতে না পেয়ে আকবর একই উপজেলার ভরনিয়া পূর্বপাড়ায় তার শ্বশুরবাড়িতে সকালে খোঁজ নেন। সেখানে না পেয়ে আবার বাড়িতে ফিরে আসেন।
আরিফা আক্তারের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় ১৩ বছর আগে আকবরের সঙ্গে আরিফার বিয়ে হয়। সংসারে কষ্ট থাকলেও তা নিয়ে সে কোনো কথা বলতে চাইত না। লোকমুখে আকবর ও আরিফার মধ্যে ঝগড়ার কথা শুনতাম। কী কারণে এমনটি হলো, আমি বলতে পারবো না।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মো. মাইনুদ্দিন বলেন, ‘আরিফার স্বামী আকবর ফেরি করে বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করেন। সংসারে অভাব ছিল। অভাব-অনটন নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো।’
ওসি বলেন, ‘মা ও দুই সন্তানের মরদেহ উদ্ধারের সময় তাদের নাক-মুখে ফেনা দেখা গেছে। এটি বিষপানের কারণে হতে পারে। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’
Comments