টাঙ্গাইলে মাদরাসা ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড
টাঙ্গাইলের ভূয়াপুর উপজেলায় মাদরাসা ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অপরাধে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এই রায় ঘোষণা করেন।
একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— সাগর চন্দ্র শীল, সুজন মণি ঋষি, রাজন চন্দ্র, সঞ্জিত ও গোপী চন্দ্র শীল। এদের মধ্যে সাগর, সুজন ও রাজন উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেওয়ার পর থেকে পলাতক। আসামিদের বাড়ি মধুপুর উপজেলার চারালজানী এবং গোলাবাড়ী গ্রামে।
টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি একেএম নাসিমুল আক্তার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এর ৯(৩)/৩০ ধারায় আদালত মামলার পাঁচ আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০১২ সালে সাগর চন্দ্র শীলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিচয় হয়। ওই বছরের ১৫ জানুয়ারি সকালে বাড়ি থেকে মাদরাসায় যাওয়ার পথে সাগর কৌশলে তাকে প্রথমে এলেঙ্গায় এবং পরে সেখান থেকে মধুপুরে চারালজানী গ্রামে তার বন্ধু রাজনের বাড়িতে নিয়ে যায়।’
‘ওই রাতে তারা মেয়েটিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এরপর ১৭ জানুয়ারি রাতে তাকে বংশাই নদীর তীরে নিয়ে গিয়ে দ্বিতীয় দফায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। পর দিন ভোরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় স্বজনরা মেয়েটিকে ফিরে পায়। ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে ১৮ জানুয়ারি ভূঞাপুর থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন। পুলিশ তদন্ত শেষে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়। ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়’— বলেন নাসিমুল আক্তার।
Comments