অথচ মেসির নামে নিজের ছেলের নাম রেখেছেন সেই নাভা

জন্ম আর্জেন্টিনায়। কিন্তু কাজ করেন বলিভিয়ায়। তাই বলে স্বদেশীদের প্রতি শ্রদ্ধার কমতি থাকার কথা নয় লুকাস নাভার। কিন্তু আগের দিন এমনই গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন ফুটবলের মহাতারকা লিওনেল মেসি। তবে নাভা বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। এমনকি মেসিকে ভালোবাসেন বলে তার নাম অনুকরণে নিজের ছেলের নাম 'লিওনেল' রেখেছেন বলে জানান বলিভিয়ার এ ফিটনেস কোচ।
মঙ্গলবার রাতে কাতার বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে বলিভিয়ার বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও দারুণ এক জয় পায় আর্জেন্টিনা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তিন হাজার ৬০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত লা পাজের হার্নান্দো সাইলেস স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় তারা। কিন্তু ম্যাচের অনেকাংশ জুড়ে মেসিকে উত্যক্ত করে বলিভিয়ানরা। বিশেষ করে অধিনায়ক মার্সেলো মার্টিন্স মোরেনো।
২০০৯ সালে একই মাঠে বলিভিয়ার কাছে ৬-১ গোলের ব্যবধানে বিধ্বস্ত হয়েছিল আর্জেন্টিনা। ম্যাচের মাঝেই মেসির সামনে গিয়ে এ নিয়ে খোঁচা মেরেছেন মোরেনো। ভিডিও ফুটেজে পরে এর প্রমাণও মিলেছে। তবে নাভার বিষয়টি ধরা পড়েনি। বেঞ্চে বসে থাকায় পাওয়া যায়নি না-কি সত্যিই তিনি কিছু বলেননি এ নিয়ে জটিলতা কমছে না। তবে নাভার দাবি এমন কিছুই তিনি করেননি।
ঘটনার একদিন পর রেডিও কলনিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নাভা বলেছেন, 'আমি মেসির খেলা দেখে বড় হয়েছি। সে এ খেলার একজন কিংবদন্তি। আমি তাকে অনেক পছন্দ করি যে কারণে আমার ছেলের নাম লিওনেল রেখেছি।'
কিন্তু ম্যাচে সেদিন নাভার উপর বেজায় খেপেছিলেন মেসি। তোপ দাগিয়ে বলেছেন, 'তোমার সমস্যা কি? কেন তুমি পুরো ম্যাচ জুড়ে চিৎকার করলে। কেন তুমি সমস্যা সৃষ্টি করেছ? বেঞ্চে বসেও পুরো ম্যাচ জুড়ে তুমি কটাক্ষ করে গিয়েছ।'
বিষয়টিকে ভুল বোঝাবুঝি মনে করছেন নাভা, 'ম্যাচটি শেষ হয়ে গিয়েছিল এবং আমি দেখতে পেলাম যে ঝগড়া চলছে। কোনো প্রকার বহিষ্কার এড়াতে আমি (সকলকে) আলাদা করতে চেয়েছিলাম। তখনই ভুল বোঝাবুঝি হয়। তবে মাঠে এসব জিনিস হয়ে থাকে।'
'আমি অপমানিত বোধ করছি কারণ বিষয়টি হয়েছে মেসির সঙ্গে। এটা আমাকে আঘাত করেছে কারণ আমার ছেলেমেয়েরা আমার কাছে তার কথা শুনতে চায়।'- নিজের সন্তানদের কথা ভেবে কস্তটা আরও বেড়েছে নাভার।
Comments