ফুকুশিমার তেজস্ক্রিয় পানি সমুদ্রে ছাড়বে জাপান

জাপানে ক্ষতিগ্রস্ত ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রের পরিশোধিত তেজস্ক্রিয় পানি সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে আজ শুক্রবার জানিয়েছে বিবিসি।
এর আগে, ২০১১ সালে সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত এই পারমাণবিক কেন্দ্র ঠাণ্ডা রাখতে ব্যবহৃত পানি কী করা হবে, তা নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই বিতর্ক চলছিল।
পরিবেশবাদী ও মৎস্য আহরণকারীরা এর বিরোধিতা করলেও, অনেক বিজ্ঞানী মনে করছেন, এটি ততোটা ঝুঁকিপূর্ণ নয়।
জাপান সরকার অবশ্য জানিয়েছে, এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
জাপানের জাতীয় দৈনিক নিক্কেই ও ইওমুরি শিম্বুনসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, তেজস্ক্রিয়তা কমাতে ব্যবহৃত এক মিলিয়ন টনেরও বেশি পরিশোধিত পানি ২০২২ সাল নাগাদ ছাড়া শুরু হবে।
ইওমুরি শিম্বুন জানায়, পানি ছাড়ার আগে পারমাণবিক কেন্দ্রের ভেতরে একে অন্তত ৪০ ভাগ লঘু করা হবে।
সংবাদ সংস্থা কিয়োদো জানিয়েছে, এ মাসের শেষ দিকে এ বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
তেজস্ক্রিয় এই পানি সংরক্ষণের বিষয়ে চিন্তা বাড়ছে কর্তৃপক্ষের। জটিল পরিস্রাবণ প্রক্রিয়ায় এর বেশিরভাগ তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ সরানো হলেও, আইসোটোপ ট্রিটিয়াম এখনো সরানো যায়নি। তাই কেন্দ্রের ভেতরের বিশাল জলাধারগুলোও ২০২২ সালের মধ্যে ভরে যাবে।
শুক্রবার জাপানের শিল্পমন্ত্রী হিরোশি কাজিয়ামা বলেন, ‘পানি নিষ্কাশনের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে, সরকার শিগগির সিদ্ধান্ত নেবে।’
পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই সমুদ্রে তেজস্ক্রিয় পানি ছাড়ার বিরোধিতা করে আসছে। মৎস্য আহরণকারীরা এর বিরুদ্ধে যুক্তি দেখিয়েছে যে, যেখানে এই পানি ছাড়া হবে, ক্রেতারা সেখানকার মাছ কিনতে চাইবে না।
তবে, কয়েকজন বিজ্ঞানী বলছেন, এই পানি বিশাল প্রশান্ত মহাসাগরে দ্রুত মিশে যেতে পারবে এবং ট্রিটিয়াম মানুষ ও প্রাণীর স্বাস্থ্যের জন্য কম ক্ষতিকর।
Comments