নারায়ণগঞ্জে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার এক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে (১৪) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার সকালে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় গ্রেপ্তার তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তার তিন জন হলেন- নজরুল ইসলাম (২৫), তার বড় ভাই বাদল মিয়া (৩৭) ও মো. মুছা (২৪)।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলার বরাত দিয়ে ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ভুক্তভোগী কিশোরী স্থানীয় একটি মাদরাসার ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে মাদরাসার আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলো। অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম নিজের পরিচয় গোপন করে সাগর

পরিচয়ে তার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে। গত ১২ অক্টোবর মাদরাসা থেকে ওই কিশোরী বাড়িতে আসে। পরে সন্ধ্যা ৭টায় আবার মাদরাসার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। কিন্তু, রাতে তার মা জানতে সে মাদরাসায় যায়নি। ওইদিন ঘর থেকে বের হয়ে সে নজরুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করে। তখন নজরুল কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু, নজরুলের বড় ভাই বাদল ও মুছা গালাগালি করে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দিবে বলে নজরুলকে তাড়িয়ে দেয়। পরে একটি পুকুরের পাশে জঙ্গলে নিয়ে বাদল ও মুছা ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে। পরে ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা দুজন পালিয়ে যায়।’

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগীসহ তার মা এসে থানায় অভিযোগ দেন। পরে রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ব্রাহ্মন্দী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় সকালে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে তিনজনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।’

দুপুরে নজরুলের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি গ্রহণ ও বাদল এবং মুছার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া, ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago