করোনাভাইরাস প্রোটোকল লঙ্ঘন করেননি, দাবি রোনালদোর

পর্তুগালে ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকার নিয়ম থাকলেও ইতালিতে তা ১০ দিন। এই সময়ের পুরোটা তুরিনে নিজ বাড়িতে কাটানোর কথা রয়েছে রোনালদোর।
Ronaldo
ছবি: টুইটার

ইতালির ক্রীড়া মন্ত্রী ভিনচেঞ্জো স্পাদাফোরার অভিযোগের পর ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর সমর্থনে বিবৃতি দিয়েছিল তার ক্লাব জুভেন্টাস। এবারে পর্তুগিজ তারকা নিজেই মুখ খুলে জানিয়েছেন, নিজ দেশ থেকে তুরিনে ফিরলেও করোনাভাইরাস প্রোটোকল লঙ্ঘন করেননি তিনি।

গত মঙ্গলবার রোনালদোর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর জানা যায়। তখন পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছিল, তার কোনো উপসর্গ নেই এবং তিনি আইসোলেশনে আছেন। তবে পরদিন জুভেন্টাস কর্তৃপক্ষ জানায়, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তুরিনে ফিরেছেন তিনি।

পরবর্তীতে রোনালদোর এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে স্পাদাফোরা বলেন, ‘স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সুনির্দিষ্ট অনুমোদন না থাকলে আমার মতে সে নিয়ম ভেঙেছে।’

জুভ কর্তৃপক্ষ অবশ্য ধোঁয়াশা দূর করার চেষ্টায় বিবৃতি দিয়ে জানায়, সকল নিয়ম অনুসরণ করেই পর্তুগাল থেকে ইতালিতে ফিরেছেন রোনালদো, ‘সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র নিয়েই মেডিকেল ফ্লাইটে ইতালিতে ফিরেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবং তিনি নিজের বাড়িতে আইসোলেশন চালিয়ে যাবেন।’

রোনালদো নিজেও শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করে দিয়েছেন ক্রীড়ামন্ত্রীর অভিযোগের পাল্টা জবাব, ‘আমি সবসময় বাড়িতে থাকছি। এখন আমি সূর্যস্নান করছি। পাশাপাশি দিনগুলোকে অতিক্রান্ত হতে দিচ্ছি। আমি প্রোটোকলকে সম্মান দেখাচ্ছি। যদিও বলা হয়েছে, কিন্তু আসলে আমি এটা লঙ্ঘন করিনি: এটা মিথ্যা।’

৩৫ বছর বয়সী এই তারকা ফরোয়ার্ড যোগ করেছেন, ‘আমি এক তলায় আছি, আমার পরিবার আরেক তলায়। আমরা একে অপরের সংস্পর্শে আসতে পারব না।’

উল্লেখ্য, পর্তুগালে ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকার নিয়ম থাকলেও ইতালিতে তা ১০ দিন। এই সময়ের পুরোটা তুরিনে নিজ বাড়িতে কাটানোর কথা রয়েছে রোনালদোর।

আগামী ২৮ অক্টোবর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে বার্সেলোনার মুখোমুখি হবে জুভেন্টাস। পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী রোনালদো ইতালিতে ফেরায় হাই ভোল্টেজ লড়াইয়ে তাকে পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে তুরিনের বুড়ি খ্যাত দলটির। এখন কেবল করোনাভাইরাস পরীক্ষায় তার নেগেটিভ ফল আসার অপেক্ষা।

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

13h ago