লংমার্চ শেষে ঢাকার পথে আন্দোলনকারীরা

শনিবার বিকেলে নোয়াখালী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার উন্মুক্ত মঞ্চে সভা করেন আন্দোলনকারীরা। ছবি: স্টার

ধর্ষণের বিরুদ্ধে নয় দফা দাবিতে ঢাকা-নোয়াখালী লংমার্চ শেষে নতুন কর্মসূচি ঘোষণার মাধ্যমে ঢাকায় রওনা হয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

নোয়াখালীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের উন্মুক্ত মঞ্চে সমাবেশ শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন তারা।

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তাফা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ফেনীতে লংমার্চে হামলার প্রতিবাদে আগামী ১৯ অক্টোবর সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। পরবর্তীতে অন্য কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।’

এরআগে, দুপুর ২টার দিকে নোয়াখালী পৌঁছায় ধর্ষণবিরোধী লংমার্চ। পরে ফেনীতে হামলায় আহতদের সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে বিকেলে নোয়াখালী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার উন্মুক্ত মঞ্চে সমাবেশ করেন আন্দোলনকারীরা। ওই সভায় তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিও করেন।

নোয়াখালী পৌঁছে বিকেলে গোলাম মোস্তফা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ফেনী থেকে নোয়াখালী আসার পথে ফেনীর দাগনভূইয়া ও বেগমগঞ্জের চৌমুহনী আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর তাদের গতিরোধ করা হয়। পরে পুলিশের সগযোগিতায় দুপুরে ২টার দিকে নোয়াখালী বেগমগঞ্জের চৌমুহনী লাইফ কেয়ার হাসপাতালে পৌঁছাই। এখানে গুরুতর আহত ৩৫ জনের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। বাকিদের বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।’

হামলার ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্র ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক এমএইচ রিয়াজ, সদস্য মো. ইব্রাহিম, রাবেয়া রফিক রিমি, তানভীর আলম, মাহীম হোসেন, সীমা আক্তার, জান্নাতুল ফাতেমা অন্যান্য, মাশরাফি, মারিয়া, সাকিল, নিধিসহ প্রায় অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।

চৌমুহনী লাইফ কেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রাকিব উদ্দিন ৩৫ জনের চিকিৎসা দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আহতদের বেশিরভাগের অবস্থা গুরুতর। তাদের মাথা, হাত, পা ও শরীরের অনেক স্থান গুরুতর জখম হয়েছে। অনেকের হাত ও পা ভেঙে গেছে।’

আরও পড়ুন:
 

Comments

The Daily Star  | English

Mahfuj Alam apologises for past 'divisive' statements

"The patriotic people who stood united during the July uprising now face a long test"

1h ago