ঘরে বন্দি থাকা কঠিন ছিল: ইব্রাহিমোভিচ

দীর্ঘদিনের অভ্যাস ও জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আসায় মানসিক চাপে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি।
zlatan
ছবি: টুইটার

গেল মাসের শেষ দিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর টানা দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে ছিলেন জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ। কিন্তু নিজ বাড়িতে বন্দি থাকার সময়টা একদমই ভালো কাটেনি এসি মিলানের এই অভিজ্ঞ স্ট্রাইকারের। দীর্ঘদিনের অভ্যাস ও জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আসায় মানসিক চাপে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি।

শনিবার রাতে মিলান ডার্বিতে নজরকাড়া পারফরম্যান্স উপহার দেওয়ার পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কোয়ারেন্টিনে থাকার অভিজ্ঞতা জানান ইব্রা, ‘পুরোপুরি ছন্দপতন ঘটে। অনুশীলন ও খেলার ঘাটতির কারণে শরীর কাঁপতে শুরু করে। আমি দুই সপ্তাহ বাড়িতে আটকে ছিলাম। এটা সহজ ছিল না। মানসিকভাবে এটা বেশ কঠিন ছিল।’

করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠে ইব্রাহিমোভিচ অনুশীলনে ফেরেন গত সপ্তাহে। মাঝে কয়েকটি ম্যাচে খেলতে না পারলেও কোনো আফসোস রাখেননি এই ৩৯ বছর বয়সী সুইডিশ তারকা। তবে মিলান ডার্বিতে খেলতে মুখিয়ে ছিলেন তিনি। কোনোভাবেই এই ম্যাচে দর্শক হয়ে থাকার আগ্রহ ছিল না তার। ইচ্ছাপূরণ তো হয়েছেই, ম্যাচে ব্যবধানও গড়ে দিয়েছেন তিনি!

শহর প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টার মিলানের সঙ্গে মৌসুমের প্রথম দেখায় সান সিরোতে ২-১ গোলে জেতে এসি মিলান। সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে জোড়া গোল করেন ইব্রা; ম্যাচের ত্রয়োদশ ও ষোড়শ মিনিটে। ২৯তম মিনিটে রোমেলু লুকাকু ব্যবধান কমালেও দলের হার ঠেকাতে পারেননি।

ইন্টারকে হারাতে কতটা উন্মুখ ছিলেন তা উল্লেখ করে ইব্রাহিমোভিচ বলেন, ‘ফল কী আসে তা দেখার জন্য আমাকে তিন দিন পর পর পরীক্ষা করা হয়েছিল। আমি নিজেকে বলেছিলাম যে, অন্যান্য ম্যাচগুলো এড়িয়ে যেতে পারব, কিন্তু ডার্বি নয়। কেউ আমাকে থামাতে পারবে না। আমরা আগের চার বছর ইন্টারকে হারাতে পারিনি এবং আমি ক্ষুধার্ত ছিলাম।’

দলের সবচেয়ে বর্ষীয়ান হিসেবে বাড়তি দায়িত্ব যেমন অনুভব করেন ইব্রা, তেমনি সতীর্থদের ইতিবাচক মনোভাবও তাকে করে উজ্জীবিত, ‘গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, দল জিতেছে। আমি স্কোয়াডের সবচেয়ে বয়স্ক। আমি অনেক দায়িত্ব অনুভব করি। এটা অনুভূত হয়ে ভালো লাগে যে, তারা সবাই আমার নেতৃত্ব অনুসরণ করে এবং জয়ের জন্য ক্ষুধার্ত।’

Comments