৩০ শতাংশ টিউশন ফি মওকুফের দাবি নর্থ সাউথের শিক্ষার্থীদের

করোনা মহামারির কারণে আগামী ফল সেমিস্টারে ৩০ শতাংশ টিউশন ফি মওকুফের দাবিতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে বিক্ষোভ করেছে একদল শিক্ষার্থী।
নর্থ সাউথের গেটের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: স্টার

করোনা মহামারির কারণে আগামী ফল সেমিস্টারে ৩০ শতাংশ টিউশন ফি মওকুফের দাবিতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে বিক্ষোভ করেছে একদল শিক্ষার্থী।

আজ রোববার সকালে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের গেটে জড়ো হয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

তারা কম্পিউটার ল্যাব ফি, লাইব্রেরি ফিসহ অন্যান্য ফি বাতিলের দাবি জানিয়েছে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনলাইনে পাঠদান করছে এবং ক্যাম্পাসের সুবিধাগুলো তাদের ব্যবহারের সুযোগ নেই।

ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা ৩০ শতাংশ টিউশন ফি এবং শিক্ষার্থীদের ওপর আরোপিত অন্যান্য ফি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। এতে শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের আর্থিক বোঝা কমবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবি না মানলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলন করব।’

শিক্ষার্থীরা বলেন, ২২ অক্টোবরের মধ্যে তাদের দাবি মানতে হবে। কারণ, তখন ফল সেমিস্টার শুরু হবে।

করোনার কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো নর্থ সাউথও বন্ধ আছে। তবুও, সকালে কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী গেটের সামনে জড়ো হয়।

তারা সেখানে সকাল ১১টা থেকে কয়েক ঘণ্টার কর্মসূচি পালন করেন। তারা ব্যানার হাতে নিয়ে নানারকম স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, করোনা পরিস্থিতিতে চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন তারা। ফলে, জীবনযাপনের ব্যয় বহন করা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। যা তাদের অভিভাবকদের টিউশন ফি পরিশোধের বিষয়টি কঠিন করে তুলেছে।

তারা আশা করছেন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে তাদের দাবিকে মেনে নিবেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনা মহামারির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিদায়ী সামার সেমিস্টারে ২০ শতাংশ টিউশন ফি মওকুফ করেছিল।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলামের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তার সঙ্গে মুঠোফোনের যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিকেলে সাড়ে তিনটার দিকে শিক্ষার্থীদের মুঠোফোনে পাঠানো এক বার্তায় জানায়, আগামী ২২ অক্টোবরের মধ্যে তারা বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।

Comments

The Daily Star  | English
Detained opposition activists

The flipside of the democracy carnival

Bereft of the basic rights to assemble and express, let alone protest, the people of Bangladesh are currently bearing the brunt of the coercive apparatuses of the state.

8h ago