সংগঠন পরিচালনার জন্য গণচাঁদা, ব্যক্তি স্বার্থে নয়: নুর

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর। ছবি: সংগৃহীত

আগামী মাসেই নতুন রাজনৈতিক দল ‘বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদ’ গঠনের ইচ্ছা পোষণ করে গণচাঁদা সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। ‘দেশের মানুষের অধিকার এবং গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার’ সংগ্রামকে সুসংগঠিত করতে এই গণচাঁদা আহ্বান করা হয়েছে বলে জনগণের উদ্দেশ্যে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘তারুণ্যের নতুন ধারার রাজনীতিতে আপনাদের সহযোগিতা আমাদের একান্ত কাম্য।’

ফেসবুকে নিজের পেইজে নুরের এ ঘোষণার পরপরই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

এ বিষয়ে আজ রোববার রাতে ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতা নুরুল হক নুর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমাদের সংগঠন মূলত ছাত্রদের সংগঠন। অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতো এখানে অর্থ-বিত্তশালী, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীরা নেই। তাদের মতো আমাদের এতো অর্থের উৎসও নেই। তাই আমরা মূলত সংগঠন পরিচালনার জন্য সমর্থক-শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা চেয়েছি। আমরা এখানে অন্যায়ের কিছু দেখছি না।’

‘দেশ-বিদেশে আমাদের বহু সমর্থক-শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন। যারা এর আগেও আমাদের অর্থ সহায়তা দিয়েছেন, বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন। আমরা সংগঠনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সব কর্মকাণ্ড গণ-অনুদানের মাধ্যমেই পরিচালিত করে এসেছি। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে ডাকসু আন্দোলন, প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা মানুষের অনুদান, ভালোবাসা ও সমর্থন নিয়ে এগিয়ে গেছি। সরকারি দলের হামলায় আমাদের নেতা-কর্মীরা বার বার আহত হয়েছেন, তাদের চিকিৎসার ব্যয়ভার কিন্তু সাধারণ মানুষই বহন করেছে। এই করোনাকালেও আমরা সমর্থক-শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহযোগিতায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি, তেমনি আশা করি ভবিষ্যতেও দেশের মানুষ আমাদের পাশে দাঁড়াবে’, যোগ করেন তিনি।

অভিযোগ আছে, গণচাঁদা সংগ্রহের নামে ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতারা অর্থ আত্মসাতের নতুন ফন্দি এঁটেছে। এ বিষয়ে সমালোচনাও হচ্ছে বিস্তর।

নুর বলেন, ‘গণচাঁদা বলা হলেও যা আসলে গণ-অনুদান। আমরা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতায় বিশ্বাসী বলেই বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে এসেছি। সংগঠনের নামে মানুষের টাকা নিয়ে নিজেরা আত্মসাৎ করব, এ ধরনের দুরভিসন্ধি আমদের আগেও ছিল না, এখনো নেই। আমরা জানি, বাস্তবিক অর্থে যারা আমাদের ভালোবাসে, যারা আমাদের সমর্থক-শুভাকাঙ্ক্ষী, তাদের বাইরে কেউ আমাদের ডাকে এগিয়ে আসবে না। তারা কেবল দূর থেকেই সমালোচনা করতে জানে। সংগঠনের টাকা নিজ স্বার্থে ব্যবহার করার নজির আমাদের কারও নেই। এ ধরণের অভিযোগ ভিত্তিহীন।’

‘সমর্থক-শুভাকাঙ্ক্ষীরা আমাদের কীভাবে, কী প্রক্রিয়ায় অনুদান দেবে, অথবা দেবে না, এটি একান্তই তাদের ব্যাপার। বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের বাইরের মানুষ বা বিরোধীদের সমালোচনার কোনো যৌক্তিক কারণ দেখি না’, বলেন তিনি।

নুর আরও বলেন, ‘আমরা যেহেতু প্রকাশ্যেই বলেছি, সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা জন্য এই গণচাঁদা সংগ্রহ করা হচ্ছে, কারও ব্যক্তি স্বার্থে নয়। সেহেতু আমরাও এর প্রতিনিয়ত আপডেট দেব, কত টাকা সংগৃহীত হয়েছে, কত টাকা কোথায়-কীভাবে ব্যয় হচ্ছে। না হলে এটি নিয়েও আবার সরকার আমাদের বিপদে ফেলতে পারে।’

Comments

The Daily Star  | English

Doubts growing about interim govt’s capability to govern: Tarique

"If we observe recent developments, doubts are gradually growing among various sections of people and professionals for various reasons about the interim government's ability to carry out its duties."

18m ago