মধ্যবর্তী নির্বাচনের সুযোগ নেই: কাদের

qader_0_7_0.jpg
ওবায়দুল কাদের। স্টার ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। কিন্তু বিএনপি জনগণের মনের ও চোখের ভাষা বুঝতে পারে না, এটাই তাদের ব্যর্থতা।

আজ সোমবার সকালে সংসদ ভবন এলাকায় তার সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গণতন্ত্রকে শক্তিশালীকরণের পাশাপাশি গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন যেকোনো সিদ্ধান্তগ্রহণে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে জনগণকে। কিন্তু বিএনপি জনগণের মনের ও চোখের ভাষা বুঝতে না পারাই তাদের মূল ব্যর্থতা।’

তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিককালে উপনির্বাচন নিয়ে বিএনপি অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়ছে, তাদের বিরোধিতা আর মিথ্যাচার এখন অস্থিমজ্জার অংশ হয়ে গেছে। কোনো ইস্যুতে বিএনপি স্থির নয়, মাঠের রাজনীতিকে তারা এখন ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবহার করছে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতি এখন বহুদূর থেকে ভেসে আসা। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হবে, মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই।’

কোনো অগণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করলে জনগণ তা প্রতিহত করবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ষড়যন্ত্র ও অস্থিরতা তৈরিতে বিনিয়োগ না করে জনগণের পাশে থাকুন। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কোনো অগণতান্ত্রিক পথ বেছে নেবেন না।’

নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, এ প্রতিষ্ঠান স্বাধীনভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কমিশনকে শক্তিশালী করতে সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা প্রয়োজন। ঢালাও সমালোচনা না করে গঠনমূলক অভিযোগ দিলে কমিশন নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘উপনির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি হরতালের ডাক দিয়েছে। জনরায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি কর্মসূচি দিয়েছে, কিন্তু কর্মসূচির নামে জনগণের শান্তি ও স্বস্তি নষ্ট করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করবে আওয়ামী লীগ।’

Comments

The Daily Star  | English
election before ramadan 2026 in Bangladesh

Election possible a week before Ramadan next year: Yunus tells Tarique

He said it will be possible if preparations completed, sufficient progress made in reforms and judicial matters

3h ago