বিপর্যয়ে উজ্জ্বল ইয়াসির-অঙ্কন
শুরুতে টপ অর্ডারের একের পর এক বাজে শটের মহড়ায় চরম বিপর্যয়ে পড়েছিল তামিম একাদশ। ১৭ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল তারা। ওই অবস্থা থেকে দলকে টেনে নেন ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি আর মাইদুল ইসলাম অঙ্কন। একশোর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত ২২১ রান করেছে তারা।
ইয়াসিরের ব্যাট থেকে আসে ৮১ বলে ৬২ রান, ১১০ বলে ৫৭ করেছেন অঙ্কন। রুবেল হোসেন ৩৪ রানে নেন ৪ উইকেট।
বিসিবি প্রেসিডেন্ট'স কাপের ফাইনালের আশা জিইয়ে রাখতে ম্যাচটা জিততেই হতো মাহমুদউল্লাহ একাদশকে। টস জিতে তাই ফিল্ডিং বেছে নেয় তারা। ব্যাট করতে গিয়ে তৃতীয় ওভারেই তানজিদ হাসান তামিম রুবেল হোসেনের অনেক বাইরের বল তাড়া করে স্লিপে দেন ক্যাচ।
চতুর্থ ওভারে একই ভুল করেন অভিজ্ঞ তামিম ইকবালও। আবু হায়দার রনির বাইরের বল তাড়া করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আরেকবার ব্যর্থ বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক।
এনামুল হক বিজয় আর মোহাম্মদ মিঠুনেরও একই দশা। রবেলের অনেক বাইরের বল তাড়া করে বিজয় ক্যাচ দেন কাভারে। মিঠুনের ক্যাচ যায় উইকেটের পেছনে।
পঞ্চম উইকেটে এরপর বড় জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় তামিমের দল। কিপার ব্যাটসম্যান অঙ্কনের সঙ্গে জুটিতে ১১১ রান আনেন ইয়াসির। দুজনের ভুল বোঝাবুঝিতে ইয়াসির ৬২ রানে আউট হয়ে ভাঙ্গে এই জুটি। তার আগে বেশ সাবলীল ইনিংস খেলেছেন ইয়াসির। ইনসাইড আউটে বাউন্ডারি পেয়েছেন, মাহমুদউল্লাহকে স্লগ সুইপে ছক্কায় উড়িয়েছেন। পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খেলেছেন অনড্রাইভ। ৫ চার ১ ছক্কার ইনিংসটা হতে পারত আরও বড়। অঙ্কনের ডাকে সাড়া দিয়ে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে পৌঁছাতে পারেননি স্ট্রাইকিং প্রান্তে।
কিছুটা মন্থর খেলা অঙ্কনও পরে বেশিক্ষণ টেকেননি। রুবেলকে উড়াতে গিয়ে সহজ ক্যাচে ৫৭ রানে বিদায় হয় তার।
বাকি পথে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ৩৯ বলে ৪০ করেন মোসাদ্দেক। সাইফুদ্দিন ২৯ বলে করেন ৩৮ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
তামিম একাদশ: ৫০ ওভারে ২২১/৮ (তামিম ৯, তানজিদ ১, বিজয় ১, ইয়াসির ৬২, মিঠুন ১, মাইদুল ৫৭, মোসাদ্দেক ৪০, সাইফুদ্দিন ৩৮, শেখ মেহেদী ১, তাইজুল ০ ; রুবেল ৪/৩৪, রনি ১/৪০, ইবাদত ২/৬০, রাকিবুল ০/৩২, মিরাজ ০/৩০ , মাহমুদউল্লাহ ০/২৩ )
Comments