চীনের অতি ধনীদের হাতে রাশিয়ার এক বছরের সমপরিমাণ অর্থ

চীনে অতি ধনীদের হাতে সম্মিলিতভাবে রয়েছে ৪ ট্রিলিয়ন ডলার, যা রাশিয়ার বার্ষিক অর্থনৈতিক উৎপাদনের সমান।
ছবি: সংগৃহীত

চীনে অতি ধনীদের হাতে সম্মিলিতভাবে রয়েছে ৪ ট্রিলিয়ন ডলার, যা রাশিয়ার বার্ষিক অর্থনৈতিক উৎপাদনের সমান।

সাংহাই-ভিত্তিক হুরুন চায়না রিচ লিস্টের বরাত দিয়ে আজ মঙ্গলবার চীনের প্রভাবশালী দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এ তথ্য জানায়।

দৈনিকটির প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা মহামারি চীনের বিলিয়নিয়ারদের আরও ধনী হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।

জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা হুরুনের মতে, পুঁজিবাজার চাঙা ও নতুন নতুন প্রতিষ্ঠানের কাজ শুরু হওয়ায় চীনের ধনীদের উপার্জন আরও বেড়েছে।

গত ২৮ আগস্ট পর্যন্ত চীনের ধনীদের মোট সম্পদের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা তালিকায় এবারো শীর্ষে রয়েছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা।

জ্যাক মা ও তার পরিবারের সম্পদ গত বছরের তুলনায় ৪৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে। আলিবাবার মালিকানায় রয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টও।

হুরুন রিপোর্টের চেয়ারম্যান ও প্রধান গবেষক রুপার্ট হুগেভের্ফ এক বার্তায় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হুরুন চায়না রিচ লিস্টের হিসাবে গত পাঁচ বছরে সম্মিলিতভাবে যে পরিমাণ সম্পদ তৈরি হয়েছে তার চেয়ে বেশি পরিমাণ সম্পদ তৈরি হয়েছে এ বছরে।’

তার মতে, অর্থনীতির কাঠামো বিকশিত হয়েছে। পণ্য উৎপাদন ও রিয়েল এস্টেটের মতো প্রথাগত ক্ষেত্র থেকে সরে এসে এখন নতুন অর্থনীতি সৃষ্টি হচ্ছে।

চীনে অন্তত ২ বিলিয়ন ইয়ান বা ৩০০ মিলিয়ন ডলার সম্পদের মালিকদের অতি ধনী হিসেবে গণ্য করা হয়। হুরুনের তালিকা মতে, বর্তমানে দেশটিতে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ২ হাজার ৩০৩ জন। গত বছর তাদের মোট সম্পদে যোগ হয়েছে ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ডিসেম্বরে মধ্য চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে করোনাভাইরাস দেখা দিলে দেশটির অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চলতি বছরের মাঝামাঝি চীনে করোনার বিস্তার রোধ করা সম্ভব হওয়ায় দেশটির অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে হতে শুরু করেছে। বিশেষ করে পুঁজিবাজারে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপক সাফল্য মহাপ্রাচীরের দেশটির অর্থনীতিকে নতুনভাবে বিকশিত করছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, করোনার প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অর্থনীতিতে যখন ধস নামছে তখন চীনের চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৩ দশমিক ২ শতাংশ।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago