এশিয়ায় বৃহৎ শক্তির মর্যাদা থেকে খানিকটা পিছিয়েছে ভারত: সমীক্ষা

India
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও জাপানের পর এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারত চতুর্থ শক্তিশালী দেশ। কিন্তু, চলতি বছর ভারত ‘বৃহৎ শক্তির’ মর্যাদা থেকে খানিকটা পিছিয়ে গিয়েছে বলে এক সমীক্ষায় জানানো হয়।

গতকাল সোমবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সিডনি-ভিত্তিক লোই ইনস্টিটিউটের এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্স ফর টু থাউজেন্ড টুয়েন্টির তথ্য অনুযায়ী ভারতের পাওয়ার স্কোর ২০১৯ সালে ছিল ৪১। এটি চলতি বছরে কমে হয়েছে ৩৯ দশমিক ৭।

‘বৃহৎ শক্তি’ হিসেবে বিবেচিত হতে একটি দেশের ৪০ পয়েন্ট প্রয়োজন হয়।

লোই ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এশিয়ার দ্বিতীয় জনবহুল দেশটিকে এখন ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একটি “হাই-পারফর্মিং মিডল পাওয়ার” হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’

আগামীতে ভারত নিজেকে বৃহৎ শক্তির তালিকায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে বলেও প্রতিবেদনে আশা করা হয়।

ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে ভারত করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধি অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, চীনের কাছে ভূমি হারিয়ে ভারত বেইজিংয়ের সঙ্গে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক অবস্থানকে অনিশ্চিত করে ফেলেছে।

প্রতিবেদন মতে, ‘জনসংখ্যার দিক থেকে ভারতকে চীনের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। তবে, ভবিষ্যতে ভারত ও চীন সমানে সমান হবে এমনটি ভাবা বাস্তবসম্মত নয়।’

করোনা মোকাবিলায় দেশ দুটির ভূমিকা তাদের মধ্যে শক্তিমত্তার পার্থক্যকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছে বলে প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়।

বলা হয়, ভারতের চলমান প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে চলতি দশকের শেষে তাজমহলের দেশটি চীনের অর্থনিতক উৎপাদনের মাত্র ৪০ শতাংশ অর্জন করতে পারবে।

তবে এশিয়ায় ভারতের কূটনৈতিক প্রভাব আগের তুলনায় বেড়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, এই অঞ্চলে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের ইচ্ছা ২০২০ সালে আরও স্পষ্ট হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

What are the five charges against Hasina at ICT?

Former home minister Kamal and ex-IGP Mamun have also been accused

22m ago