‘এক চোখ’ নিয়ে খেলা শিষ্যের প্রশংসায় ইউনাইটেড কোচ
নেমানিয়া মাতিচ, ডনি ভ্যান ডি বিক, হুয়ান মাতা ও পল পগবার কারও জায়গা হলো না মূল একাদশে। প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) বিপক্ষে পাঁচ ডিফেন্ডার নিয়ে খেলতে নামা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মাঝ মাঠ সামলানোর গুরুদায়িত্ব তাই পড়ল স্কট ম্যাকটোমিনের কাঁধেও। এই স্কটিশ ফুটবলার ম্যাচ জুড়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে আদায় করে নিলেন কোচের প্রশংসা। শিষ্যের গুণকীর্তন করার সময় একটি চমকপ্রদ তথ্যও জুড়ে দিলেন ওলে গানার সুলশার।
সেটা কী? ম্যাচের প্রথমার্ধে ‘এক চোখ’ নিয়ে খেলেছেন ম্যাকটোমিনে! মানেটা কী? খেলা চলাকালীন মাঠের ভেতরে কন্টাক্ট লেন্স হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কিলিয়ান এমবাপে-নেইমারদের বিপক্ষে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে সুলশার বলেছেন, ‘স্কটির (ম্যাকটোমিনে) কথাও আলাদা করে বলতে হয়। ম্যাচের প্রথমার্ধে “এক চোখ” নিয়ে খেলেছে সে। এটা একটা অসাধারণ ব্যাপার ছিল। সে কন্টাক্ট লেন্স হারিয়ে ফেলেছিল। এটা আসলেও দারুণ একটা ঘটনা ছিল।’
ইউরোপের সেরা ক্লাব আসরের গতবারের রানার্সআপ পিএসজিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এবারের অভিযান শুরু করেছে ইউনাইটেড। ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে ফরাসি লিগ ওয়ানের শিরোপাধারীদের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের গোলে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে সফরকারী রেড ডেভিলসরা। ২০১৮-১৯ মৌসুমের পর দুদলের প্রথম দেখায় নিজেদের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে ফের হারের তিক্ত স্বাদ নিয়েছে টমাস টুখেলের শিষ্যরা।
ম্যাচের তিনটি গোলই করেন সফরকারী ইউনাইটেডের খেলোয়াড়রা। প্রথমার্ধে অতিথি অধিনায়ক ব্রুনো ফার্নান্দেসের সফল স্পট-কিকে পিছিয়ে পড়া পিএসজি সমতায় ফেরে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে, অ্যান্থনি মার্শিয়ালের আত্মঘাতী হেডে। এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠা লড়াইয়ে নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট আগে ব্যবধান গড়ে দেন তরুণ ইংলিশ স্ট্রাইকার মার্কাস র্যাশফোর্ড।
ম্যাচের ৮৭তম মিনিটে জয়সূচক গোল পায় ইউনাইটেড। পল পগবার পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গতির তোড়ে লেগে থাকা ডিফেন্ডারকে ছিটকে দিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে কোণাকুণি শট নেন র্যাশফোর্ড। পিএসজি গোলরক্ষক কেইলর নাভাসকে ফাঁকি দিয়ে পোস্টের ভেতরের দিকে লেগে বল জালে পৌঁছালে উৎসবে মাতে সফরকারীরা।
জয়ের নায়ককে নিয়ে উচ্ছ্বসিত সুলশারের প্রতিক্রিয়া, ‘র্যাশফোর্ড একজন দারুণ ফুটবলার। তার দক্ষতা রয়েছে। গোলটিও সে করেছে দারুণভাবে। বাঁক নেওয়াটা অসাধারণ ছিল। ভালো ফিনিশিং, কোণাকুণি শট মেরেছে। আমার মনে হয়, সে এই স্টেডিয়ামটা (পার্ক দে প্রিন্সেস) পছন্দ করে।’
২০১৮-১৯ মৌসুমে র্যাশফোর্ডের যোগ করা সময়ের গোলেই কপাল পুড়েছিল পিএসজির। তাদেরকে বিদায় নিতে হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো থেকে। সেবার ইউনাইটেডের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ২-০ গোলে জয়ের পর নিজেদের মাঠে ফিরতি লেগে ৩-১ ব্যবধানে হেরেছিল প্যারিসিয়ানরা।
Comments