মুশফিক-আফিফের ব্যাটে রান, সাইফুদ্দিনের ৫ উইকেট

mohammad saifuddin
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আগের ম্যাচগুলোতে গড়পড়তা ছিলেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। চতুর্থ ম্যাচে এসে সেরা ছন্দে পাওয়া গেল তাকে। বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনে দারুণ বল করে আলো কেড়ে নিয়েছেন তিনি। টুর্নামেন্টে প্রথম বোলার হিসেবে তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট।  সাইফুদ্দিনের তোপের মাঝে রান পেয়েছেন ছন্দে থাকা দুই ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও আফিফ হোসেন।

বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃষ্টির কারণে খেলা নেমে আসে ৪১ ওভারে। তবে শান্ত একাদশ খেলতে পারেনি পুরো ওভার। ৯ বল আগেই ১৬৬ রানে গুটিয়ে গেছে তারা।   বিসিবি প্রেসিডেন্ট’স কাপের ফাইনালে কারা খেলবে তা নির্ভর করছে এই ম্যাচের উপরই। শান্ত একাদশ অলআউট হয়ে যাওয়ায় ডি/এল মেথডে ম্যাচ জিততে ১৬৪ রান করলেই চলবে তামিম একাদশের। 

২৬ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন সাইফুদ্দিন। আবারও একবার ৩ উইকেট নিতে মোস্তাফিজ দিয়েছেন ৩৬ রান।

আরও একবার টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতা হয়ে উঠে ম্যাচের শুরুর গল্প। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শান্ত একাদশ শুরুতেই হারায় দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন আর সৌম্য সরকারকে। পুরো টুর্নামেন্টে নিজের ছায়া হয়ে থাকা সৌম্য এবারও ফেরেন বাজে অ্যাপ্রোচে। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বেরিয়ে যাওয়া বলে ব্যাট লাগিয়ে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে।

তরুণ পারভেজ অফ স্পিনার শেখ মেহেদীকে স্লগ সুইপে উড়াতে গিয়ে টপ এজ হয়ে দেন সহজ ক্যাচ। ১৯ রানে ২ উইকেট পড়া দল খানিক পরই খায় আরেক ধাক্কা। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত কাবু হন মোস্তাফিজুর রহমানের কাটারে।

২৫ রানে ৩ উইকেট পড়ার পর জুটি বাধেন মুশফিকুর রহিম ও আফিফ হোসেন। তারা ৭ ওভার ব্যাট করার পর মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নামে তুমুল বৃষ্টি। দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকে খেলা। দেড়টায় শুরু হওয়া ম্যাচ ১৫ ওভার পরই পড়ে ছেদ। পরে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে ফের শুরু হয় ম্যাচ। খেলা নেমে আসে ৪১ ওভারে।

নতুন সমীকরণে নেমে দ্রুত রান বাড়ানোর একটা তাগিদ দেখা যায় মুশফিক-আফিফের মাঝে। মন্থর উইকেটের সঙ্গে ভেজা মাঠ যুক্ত হওয়ায় তাদের কাজটি সহজ ছিল না। তবে দুজনেই বের করেছেন বেশ ভালো কিছু শট। শেষ দিক পর্যন্ত খেলা নিয়ে আরও আগ্রাসী হওয়ার আগেই অবশ্য থেমে যেতে হয় তাদের।

৭৫ বলে টুর্নামেন্টে তৃতীয়বার পঞ্চাশ বা তার বেশি রান করে মুশফিক ফেরেন ৫১ রানে। তার উইকেটও নেন সাইফুদ্দিন। সাইফুদ্দিনকে পুল করে স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন মুশফিক।  চতুর্থ উইকেটে এতে ভেঙ্গে যায় ৯০ রানের জুটি। দ্বিতীয় ফিফটির কাছে গিয়ে থেমেছেন আফিফ। ৬২ বলে ৪ বাউন্ডারিতে এই বাঁহাতি মেহেদির বলে ক্যাচ দেন ৪০ রান করে।

শেষ দিকে রান বাড়ানোর চাপে ছিলেন ইরফান শুক্কুর। সাইফুদ্দিনের বলে তৌহিদ হৃদয় বোল্ড হয়ে গেলে তার উপরই ছিল সকল ভার। তবে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে তার আউট ভীষণ দুর্ভাগ্যজনক। অফ স্টাম্পের দিকে সরে গিয়ে জায়গা বের করে স্কয়ার লেগ দিয়ে মোস্তাফিজকে ছক্কায় উড়িয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার পেছনের বা লেগে যায় স্টাম্পে। ছক্কা মেরেও হিট উইকেট হয়ে তাই ফিরতে হয় তাকে।

সাইফুদ্দিনের নিখুঁত ইয়র্কারে টিকতে পারেননি রিশাদ হোসেন, আল-আমিন হোসেনরা। 

 শান্ত একাদশ:   ৪১ ওভারে  ১৬৫    (ইমন ১০ , সৌম্য ৭,  শান্ত ৫, মুশফিক ৫১, আফিফ ৪০, হৃদয় ১৩, ইরফান ১১, নাসুম ১২* , রিশাদ ১, তাসকিন ২, আল-আমিন ১ ; সাইফুদ্দিন ৫/২৬ , শেখ মেহেদী ২/৩৪, খালেদ ০/৩৩, মোস্তাফিজ ৩/৩৬, শরিফুল ০/৩৬ )

Comments

The Daily Star  | English

Private airlines caught in a bind

Bangladesh’s private airline industry is struggling to stay afloat, hobbled by soaring fuel prices, punitive surcharges, and what operators describe as unfavourable policies. Of the 10 private carriers that have entered the market over the past three decades, only two -- US-Bangla Airlines and A

8h ago