এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালসের বিশ্বমানের কারখানা দেখলেন ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত জোয়াও তাবাজারা ডি অলিভিয়েরা জুনিয়র আজ টঙ্গিতে এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের বিশ্বমানের অত্যাধুনিক কারখানা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তাকে স্বাগত জানান ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী ও এসকেএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিমিন রহমান।

বাংলাদেশে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত জোয়াও তাবাজারা ডি অলিভিয়েরা জুনিয়র আজ টঙ্গিতে এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের বিশ্বমানের অত্যাধুনিক কারখানা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তাকে স্বাগত জানান ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী ও এসকেএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিমিন রহমান।

রাষ্ট্রদূত সেখানে ফারাজ আইয়াজ হোসেন ভবনের বিভিন্ন ইউনিট পরিদর্শন করেন। তাকে কারখানার বিশ্বমানের প্রযুক্তি ও উত্পাদনকেন্দ্রের বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানানো হয়। রাষ্ট্রদূত জোয়াও তাবাজারা আন্তর্জাতিক মানের এ কারখানা দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ‘এটি একটি অত্যাধুনিক শিল্প উত্পাদন কেন্দ্র। এর দক্ষ পরিচালকগণ এসকেএফ কে বাংলাদেশে একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওষুধ শিল্প বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিশ্রুতিশীল রপ্তানি শিল্প। ব্রাজিলসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে প্রতিষ্ঠানটির ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য রপ্তানির পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে।’

এসকেএফ এর কোভিড-১৯ প্রতিরোধে রেমডেসিভির উৎপাদন করায় তিনি এর উদ্যোগ ও দূরদৃষ্টির প্রশংসা করেন।

এ সময় সিমিন রহমান বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারি বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের সামনে একটা চ্যালেঞ্জ। এসকেএফ বাংলাদেশের মানুষের জন্য কোভিড-১৯ এর প্রতিষেধকের ব্যবস্থা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমাদের সক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে মানুষের সেবা করব।’

তিনি বলেন, ‘এসকেএফ এর মূল অর্জন আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদন। যখন কোভিড রোগীদের চিকিত্সার জন্য কোনো কার্যকর ওষুধ ছিল না, এসকেএফ রেমডেসিভির উৎপাদন করে শুধু বাংলাদেশের রোগীদেরই নয়, বিশ্বের অনেক দেশেই এই সেবা পৌঁছে দিয়েছে।’

এসকেএফ এর উৎপাদিত ওষুধ ইউকে এমএইচআরএ, ইইউ জিএমপি ও টিজিএ অস্ট্রেলিয়াসহ বেশকিছু আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ দ্বারা অনুমোদিত।

সম্প্রতি ক্যান্সারের ওষুধ উত্পাদন করতে এসকেএফ মর্যাদাপূর্ণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়ন গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস (ইইউ জিএমপি) এর অনুমোদন পেয়েছে।

এসকেএফ গত ৩০ বছর ধরে দেশে মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদন করে আসছে। বাংলাদেশের রোগীদের সেবা দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা ও এশিয়ার ৫৪টি দেশে পণ্য রপ্তানি করছে।

Comments

The Daily Star  | English

Love road at Mirpur: A youthful street

Certain neighbourhoods in Dhaka have that one spot where people gather to just sit back and relax. For Mirpur, it’s the frequently discussed street referred to as “Love Road”.

3h ago