আকবরকে পালাতে সহায়তাকারী এসআই বরখাস্ত
সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশের হেফাজতে মারা যাওয়া রায়হান আহমদের মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ও ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবর হোসেন ভুঁইয়াকে পালাতে সহায়তা করায় এক উপপরিদর্শক (এসআই) কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আজ বুধবার সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আকবরকে পালাতে সহায়তা ও তথ্য গোপন করার অপরাধে উপপরিদর্শক হাসান উদ্দিনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আকবরকে বরখাস্তের পর তার জায়গায় এসআই শাহিন আহমেদকে দায়িত্ব দেওয়ার পরদিন, তাকেও সরিয়ে হাসান উদ্দিনকে ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
গত ১১ অক্টোবর ভোররাতে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তির এক ঘণ্টা পর মারা যান নগরীর নেহারীপাড়ার বাসিন্দা রায়হান আহমেদ (৩৩)।
এ ঘটনায় পরদিন পুলিশ ফাঁড়িতে হত্যার বিষয় উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার।
প্রাথমিকভাবে, ছিনতাইকালে পিটুনিতে মৃত্যুর কথা বলা হলেও, পরে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি প্রাথমিক তদন্ত কমিটি গঠন করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ।
তদন্তে ওই ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্তদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে, ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, কনস্টেবল হারুনুর রশীদ, কনস্টেবল তৌওহিদ মিয়া ও কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
একই সঙ্গে প্রত্যাহার করা হয় এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেনকে।
তাদের সবাইকে পুলিশ লাইনে যাওয়ার নির্দেশ দিলে বাকিরা গেলেও পালিয়ে যান এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া।
মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন গত বৃহস্পতিবার দেশের সব ইমিগ্রেশন চেক পোস্টে আকবরের পালিয়ে যাওয়া রোধে সতর্কতা জারি করে।
পরে গতকাল মঙ্গলবার এ মামলায় বরখাস্ত হওয়া আসামি ফাঁড়ির কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে গ্রেফতার দেখায় পিবিআই।
পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুহিদুল ইসলামের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদনের ভিত্তিতে সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক জিয়াদুর রহমান শুনানি শেষে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ দিকে মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তরের একজন অতিরিক্ত মহাপরিদর্শককে প্রধান করে আকবরের পালিয়ে যাওয়ায় সহায়তাকারীদের চিহ্নিত করতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
Comments