অ্যাতলেতিকোকে উড়িয়ে শুরু বায়ার্নের
গত মৌসুম থেকেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে অবিশ্বাস্য ধারাবাহিক ফুটবল খেলে চলেছে আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। সে ধারা ধরে রেখেছে নতুন আসরেও। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদকেও হারাতে বেগ পেতে হয়নি তাদের। রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে দলটিকে। ৪-০ গোলের বড় জয় নিয়েই নতুন মৌসুম শুরু করল বাভারিয়ানরা।
ঘরের মাঠে এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খেলতে থাকে বায়ার্ন। যদিও ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো অ্যাতলেতিকো। ডি-বক্সে দারুণ এক ক্রস দিয়েছিলেন কোরাস্কো। প্রয়োজন ছিল একটি টোকার। কিন্তু অল্পের জন্য বলের নাগাল পাননি লুইস সুয়ারেজ।
১৫তম মিনিটে কর্নার থেকে থমাস মুলারের নেওয়া হেড থেকে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন নিকলাস শুলে। দারুণ ভলিও নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার, বারপোস্টে লেগে বল ফিরে আসে। তিন মিনিট পর ফের ভালো সুযোগ পেয়েছিল বায়ার্ন। কোমানের বাড়ানো বল ধরে দুরূহ কোণ থেকে দারুণ শট নিয়েছিলেন কোরেতিন তলিসো। তবে তারচেয়েও দারুণ দক্ষতায় তার শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক জন ওবলাক।
২৩তম মিনিটে গোল করার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল অ্যাতলেতিকোও। হোয়াও ফেলিক্সের পাস থেকে গোলরক্ষককে একা পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি কারাস্কো। তার দুর্বল শট সহজেই ধরে ফেলেন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়ার। চার মিনিট পর কারাস্কোর কাটব্যাক থেকে ভালো জায়গায় বল পেয়েও বাইরে মারেন সুয়ারেজ।
পরের মিনিটেই এগিয়ে যায় বায়ার্ন। ইয়শুয়া কিমিখের নিখুঁত ক্রস থেকে দারুণ দক্ষতায় বল ধরে কোণাকোণি শটে বল জালে কোমান। ৪১তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় বায়ার্ন। কোমানের পাস থেকে গোরেটজকা জোরালো শট এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে দিক বদলে জালে প্রবেশ করে। প্রথমার্ধে শেষ দিকে গোল করার ভালো পেয়েছিলেন লেভানদভস্কির। কিন্তু তার হেড লক্ষ্যে থাকেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফেলিক্স বল জালে জড়িয়েছিলেন। তবে ভিএআরে বাতিল হয় সে গোল। ৬১তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো। সতীর্থের বাড়ানো বলে পাভার্ডের হেড থেকে ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন মুলার। তার ভলি অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তিন মিনিট পর দিনের সেরা সুযোগটি নষ্ট করেন কোরাস্কো। ফেলিক্সের পাস থেকে একেবারে ফাঁকায় বল পেয়েও বাইরে মারেন তিনি।
৬৬তম প্রায় ৩৫ গজ দূর থেকে বুলেট গতির শটে বল জালে জড়ান তোলিসো। আট মিনিট পর আরও একটি গোল পায় চ্যাম্পিয়নরা। নিজের অর্ধ থেকে মুলারের বাড়ানো বলে ডি-বক্সে ঢুকে দুই খেলোয়াড়কে কাটিয়ে দুর্দান্ত এক গোল দেন কোমান। তাতে দলের বড় জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।
Comments