ভ্যাকসিন অনুমোদিত হলে আমাদের আনতে কোনো বিলম্ব হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

জাহিদ মালেক। ফাইল ছবি

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভ্যাকসিন আনতে সরকার অন্যান্য দেশের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। ভ্যাকসিন অনুমোদিত হলে আমাদের দেশে আনতে কোনো বিলম্ব হবে না।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের নবনির্মিত কার্ডিয়াক ক্যাথল্যাব জোন-২ এর শুভ উদ্বোধন শেষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোনো দেশকে ভ্যাকসিনের স্বীকৃতি দেয়নি। যখনই কোনো দেশ স্বীকৃতি পাবে আমরা সবার আগে সেটি দেশে নিয়ে আসবো। ভ্যাকসিন আনতে সরকার অন্যান্য দেশের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখে চলেছে। ভ্যাকসিন অনুমোদিত হলে আমাদের দেশে আনতে কোনো বিলম্ব হবে না।’

এ সময় তিনি করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘এই করোনা সংকটকালে দেশের স্বাস্থ্যখাত করোনা মোকাবিলা করার পাশাপাশি অন্যান্য চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রেখেছে। একদিকে কোভিড নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে অন্যদিকে নন-কোভিড চিকিৎসা সেবা বৃদ্ধি করা নিয়েও কাজ চলছে। ইতোমধ্যেই ৮ বিভাগে ৮টি উন্নত মানের ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ কাজের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। দেশের সকল হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেল কলেজকে (ঢামেক) পাঁচ হাজার বেডে উন্নীত করা হচ্ছে। একইভাবে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটকে ৭০০ শয্যা থেকে খুব শিগগির ১২০০ শয্যায় উন্নীত করা হচ্ছে। সবই করা হচ্ছে মানুষের চিকিৎসাসেবায় সুবিধা বৃদ্ধি করার জন্যই।’

অনুষ্ঠানে তিনি করোনা মোকাবিলায় সরকারের সফলতা তুলে ধরেন ও চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্সদের ধন্যবাদ জানান।

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাচিপের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজসহ অন্যান্যরা।

Comments

The Daily Star  | English
Former president Hamid airport CCTV footage

The story of Hamid’s exit

Security footage obtained and analysed by The Daily Star shows that Hamid's car reached the barrier gate of the VIP terminal at 12:46am on May 8

12h ago