বৃষ্টিতে প্যাকআপ নাটকের শুটিং

গ্রামীণ গল্পের বেশিরভাগ নাটকের শুটিং হয়ে থাকে গাজীপুর জেলার পুবাইল ইউনিয়নের ভাদুন গ্রামে। এই গ্রামে রয়েছে ২০টিরও বেশি শুটিং হাউজ। বৃষ্টির কারণে বর্তমানে বেশিরভাগ বাড়িতেই শুটিং করা যাচ্ছে না।
টানা বৃষ্টিতে শুটিং হাউজের উঠান ডুবে গেছে পানিতে। শুটিংয়ের সবাই ঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে। ছবি: স্টার

গ্রামীণ গল্পের বেশিরভাগ নাটকের শুটিং হয়ে থাকে গাজীপুর জেলার পুবাইল ইউনিয়নের ভাদুন গ্রামে। এই গ্রামে রয়েছে ২০টিরও বেশি শুটিং হাউজ। বৃষ্টির কারণে বর্তমানে বেশিরভাগ বাড়িতেই শুটিং করা যাচ্ছে না।

দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য জানান হাসনাহেনা শুটিং হাউজের ম্যানেজার মুসা মিয়া, হারুনের বাড়ির মালিক হারুন সরদার, বাদশা ভাইর শুটিং বাড়ির মালিক বাদশা।

টানা বৃষ্টির কারণে একটি নতুন ধারাবাহিক নাটকের শুটিং প্যাকআপ ঘোষণা করা হয়েছে। নাটকটির নাম মধুপুর। নাটকটি পরিচালনা করছেন এসএম শাহীন।

মধুপুর নাটকটির শুটিং গতকাল শুক্রবার শুরু হয়েছিল ভাদুন গ্রামের একাটি শুটিং  বাড়িতে। শুটিং বাড়িটির মালিক অভিনেতা মোশাররফ করিম, শামীম জামান ও আ খ ম হাসান।

মধুপুর নাটকে শুটিং করছিলেন ফজলুর রহমান বাবু, ফারুক আহমেদ, নাদিয়া আহমেদ, নাদিয়া মিম, তারিক স্বপন প্রমুখ।

তুমুল বৃষ্টি শুরু হওয়ায় গতকাল সারাদিনে অল্প কয়েকটি দৃশ্যের কাজ সম্পন্ন হয়। একটা সময়ে বাড়ির উঠানে পানি উঠে গেলে শুটিং শেষ করা সম্ভব হয়নি।

এই ইউনিটের অভিনয় শিল্পীরা বৃষ্টির শব্দ শুনে এবং আড্ডা দিয়ে দিন পার করেন। কয়েকদিনের শিডিউল নেওয়া থাকলেও সেদিন রাতেই শুটিং প্যাকআপ ঘোষণা করেন পরিচালক।

পরিচালক এসএম শাহীন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘দিন দিন নাটকের বাজেট কমেই চলেছে। সেখানে বৃষ্টির কারণে বড় ক্ষতি হয়ে গেল। আবার নতুন করে শিডিউল নিয়ে শুটিং শুরু করতে হবে।’

অভিনেতা ফারুক আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বৃষ্টি এসে আমাদের শুটিং বন্ধ করে দিয়ে গেল।’

অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে শুটিং প্যাকআপ না করে কোনও উপায়ও ছিল না।’

গাজীপুর জেলার ভাদুন গ্রাম ছাড়াও গতকাল শুটিং চলছিল রূপগঞ্জে। নাট্য পরিচালক  সরদার রোকন এক ঘণ্টার একটি নাটকের শুটিং করছিলেন সেখানে। নাটকটির অভিনেতা সাজু খাদেম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে সারাদিনে আমরা অর্ধেক দৃশ্যও শেষ করতে পারিনি।’

Comments

The Daily Star  | English
Rice price in Bangladesh is rising and the rate of coarse grain has crossed Tk 50 a kilogramme nearly after a year

How much do the poor pay for rice? At least Tk 50 a kg

Rice price in Bangladesh is rising and the rate of coarse grain has crossed Tk 50 a kilogramme nearly after a year

6h ago