সুমনের তোপের পর লিটন-ইমরুলের দাপট, চ্যাম্পিয়ন মাহমুদউল্লাহর দল

liton das
ফাইল ছবি

সুমন খানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে লক্ষ্য ছিল দুশোর নিচে, কাজটা বেশ সহজই হওয়ার কথা। কিন্তু প্রেসিডেন্ট’স কাপে ব্যাটসম্যানদের যে দশা তাতে ওই রান নিয়েই শান্ত একাদশ লড়াই করলে অবাক হওয়ার কিছু থাকত না। হয়নি লিটন দাসের কারণে। পুরো টুর্নামেন্টে একবারও ফিফটি না করা লিটন জ্বলে উঠলেন ফাইনালের বড় মঞ্চে। নান্দনিক ব্যাটিংয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়ে বেধে দিলেন সুর, দলকে নিলেন জয়ের কাছে। ইমরুল কায়েসও তাল মিলিয়ে ছুটলেন একই পথে। চ্যাম্পিয়ন হলো তাদের দল।

রোববার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২০ ওভার বাকি থাকতে শান্ত একাদশকে  ৭ উইকেটে হারিয়েছে মাহমুদউল্লাহ একাদশ। প্রস্তুতিমূলক বিসিবি প্রেসিডেন্ট’স কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা।

দলকে জেতাতে ৬৯ বলে ৬৮ রান করেন লিটন। ৫৫ বলে ৬ ছক্কায় ৫৩ করেন ইমরুল কায়েস।

১৭৪ রান তাড়ায় লিটনের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন মুমিনুল হক। টেস্ট অধিনায়ক ওয়ানডেতে থেকে নিষ্প্রভই। মাত্র ৪ রান করেই আল-আমিন হোসেনের বলে মিড অনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি।

দ্বিতীয় উইকেটে মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে জুটি পেয়ে যান লিটন। মেলে ধরেন তার ট্রেডমার্ক খেলা।  ব্যাকফুট পাঞ্চের নিখুঁত গ্যাপ বের করা শট, দৃষ্টিনন্দন কাভার ড্রাইভ, এগিয়ে এসে জায়গা বের করে তুলে দেওয়া শট, দারুণ টাইমিংয়ে পুল, স্কয়ার কাট। লিটন দাস জ্বলে উঠলে যায় হয়, বাহারি সব শটের পসরা দেখা যায়। জুটিতে আসে ৪৮ রান। যার সিংহভাগই লিটনের। নাসুম আহমেদের বলে ১৮ রান করা জয়ের আউটে ভাঙ্গে এই জুটি।

imrul kayes

টুর্নামেন্টে বড় রান না পেলেও ছন্দে ছিলেন ইমরুল কায়েস। এর আগে দুই ম্যাচে বেশ সাবলীল দেখা গেছে তাকে। চারে নেমে এদিনও ইমরুল দেখালেন দাপট।  শুরুতে চারের চেয়ে ছক্কা মারার দিকেই বেশি ঝুঁকতে দেখা গেল তাকে। 

তৃতীয় উইকেটে দ্রুতই তাই আসে ৬৩ রান। মনে হচ্ছিল ম্যচই শেষ হতে পারে এই জুটে। ৬৯ বলে ১০ চারে ৬৮ করা লিটন কাটা পড়লে তা আর হয়নি। নাসুমের বাঁহাতি স্পিনে কাট করতে গিয়ে লিটন ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে।

ইমরুল পরেও চালিয়ে গেলেন তার ছয় মারার ঝড়ো ব্যাটিং। ১ বাউন্ডারির সঙ্গে মেরেছেন হাফ ডজন ছক্কা। খেলাও শেষ হয় তার ছক্কায়। 

লিটন আউটের পর মাহমুদউল্লাহ নেমেও মারতে শুরু করেন। তড়িঘড়ি খেলা শেষ করার একটা তাগিদ দেখা যায় তার ব্যাটেও। মাত্র ১১ বলেই ২৩ রান করেন তিনি। পুরো টুর্নামেন্টে এই প্রথম ব্যাটসম্যানদের দেখা যায় এতটা দাপটে। খেলাও শেষ হয়ে যায় অনেক আগেভাগে। 

প্রথম অর্ধের প্রতিবেদন- সুমনের ৫ উইকেট, আবার বিপর্যয়ে উজ্জ্বল ইরফানের ব্যাট

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শান্ত একাদশ:  ৪৭ ওভারে ১৭৩ (সাইফ ৪, সৌম্য ৫  , শান্ত ৩২ , মুশফিক ১২, আফিফ ০, হৃদয় ২৫, ইরফান  ৭৫  , নাঈম ৭, নাসুম ৩, তাসকিন ১ , আল-আমিন ২*; রুবেল ২/২৭, সুমন ৫/৩৮  , ইবাদত ১/১৮ , মিরাজ ১/৩৯, বিপ্লব ০/২১ , রিয়াদ ১/২৮ )

মাহমুদউল্লাহ একাদশ:   ২৯.৪ ওভারে ১৭৭/৩  ( লিটন ৬৮ , মুমিনুল ৪, জয় ১৮, ইমরুল ৫৩*, মাহমুদউল্লাহ ২৩*  ; তাসকিন ০/৪৬, আল-আমিন ১/৩১, নাসুম ২/৪৮, আবু জায়েদ ০/৭, নাঈম হাসান ০/৪৪ )

ফল: মাহমুদউল্লাহ একাদশ ৭ উইকেটে জয়ী।

সেরা ব্যাটসম্যান: ইরফান শুক্কুর। 

সেরা বোলার:  সুমন খান। 

সেরা ফিল্ডার: নুরুল হাসান সোহান।

ম্যাচ সেরা: সুমন খান। 

  

Comments

The Daily Star  | English

DU JCD leader stabbed to death on campus

Shahriar Alam Shammo, 25, was the literature and publication secretary of the Sir AF Rahman Hall unit of Jatiyatabadi Chhatra Dal

18m ago