রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে টোকিওর সমর্থন চাইল ঢাকা

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে জাপানের দৃঢ় সমর্থন চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
ছবি: সংগৃহীত

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে জাপানের দৃঢ় সমর্থন চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।

তিনি এ অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতোকে তার দেশের প্রভাব মিয়ানমারের ওপর প্রয়োগ করে রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে দ্রুত ফেরানোর জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন।

রোববার ড. মোমেনের সাথে রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎকালে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে জাপানি রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি মিয়ানমারে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের কথা উল্লেখ করে জানান, সেসময়  মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে। একই সাথে তার সরকার এ বিষয়ে চাপ অব্যাহত রাখবে বলেও তিনি আশ্বস্ত করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অবকাঠামোগত ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে জাপানের অব্যাহত সহায়তার প্রশংসা করেন।

তিনি জাপানের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের দুটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) এবং গাজীপুরে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

ড. মোমেন জাপানি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের ব্যবসাবান্ধব নীতিমালা, বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার এবং বিশ্ব বাজারে পণ্যের প্রবেশাধিকারের সুযোগ নেয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য একটি ভালো গন্তব্য হিসেবে অভিহিত করেন এবং দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও উন্নত করার প্রত্যাশা রাখেন।

রাষ্ট্রদূত সদ্য নির্বাচিত জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিঠির কথা উল্লেখ করে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও জোরদার করার বিষয়ে জাপানের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রদূত উভয়ই বিদ্যমান ভালো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং ২০২২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশতম বার্ষিকীর বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজনে সম্মত হন।

ড. মোমেন কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় জাপান সরকারের সহায়তার জন্যও ধন্যবাদ জানান।

Comments

The Daily Star  | English

Deeper crisis feared as 219 factories shut

With 219 garment factories shut in Ashulia yesterday amid worker unrest along the industrial belts, Bangladesh’s apparel sector is feared to get into a deeper crisis if production does not resume on Saturday after the weekend.  

5h ago