মুন্সীগঞ্জে স্কুল ছাত্রকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল, ইউপি সদস্য ও তার শ্বশুর গ্রেপ্তার
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. তামিম হোসেনকে মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. মামুন ও তার শ্বশুর মিলন সরকারকে আটক করেছে গজারিয়া থানা পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ৭ম শ্রেণির এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তামিমের। ২৫ অক্টোবর দিবাগত রাতে দুলাভাইয়ের বাসায় বেড়াতে এসে ঐ ছাত্রী তামিমের সঙ্গে দেখা করতে চায়। দেখা করতে আসলে বিষয়টি জানাজানি হয় এবং ইউপি সদস্য মো. মামুন তার স্ত্রী ও শ্বশুরকে নিয়ে তামিমকে মারধর করে গুরুতর জখম করে।
আজ সোমবার সকাল ১১টার দিকে গজারিয়া থানা পুলিশ ইউপি সদস্য মামুন ও তার শ্বশুর আলম বেপারীকে বাউশিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। এই ঘটনায় ইউপি সদস্যের স্ত্রী মিতু আক্তার পলাতক রয়েছেন। মো. মামুন বাউশিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য।
আহত অবস্থায় তামিমকে কুমিল্লার দাউদকান্দির একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ভিডিও থেকে দেখা যায়, তামিমের পায়ে উপর্যুপরি ইট দিয়ে আঘাত করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, এক পর্যায়ে তামিম অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) খন্দকার আশফাকুজ্জামান বলেন, ‘৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর সঙ্গে পুরাতন বাউশিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. তামিম হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কয়েকদিন আগে মেয়েটি তার দুলাভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসে। এরপর সে তামিমকে দেখা করার জন্য বলে। ২৫ তারিখ দিবাগত রাতে তামিম দেখা করতে আসে এবং এই বিষয়টি জানাজানি হলে মেয়েটির দুলাভাই ইউপি সদস্য মো. মামুনসহ তার স্ত্রী ও শ্বশুর তাকে মারধর করে। পরে সেই মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। তামিমের বাবা এই ঘটনায় গজারিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।’
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন আল রশিদ বলেন, ‘সকাল ১১টার দিকে উপজেলার বাউশিয়া এলাকা থেকে মামুন মেম্বার ও তার শ্বশুর মিলন সরকারকে (৫৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের স্ত্রী পলাতক রয়েছেন।’
তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Comments