চীন নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে জাপান-যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক মহড়া
জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র আজ সোমবার থেকে জাপানের চারদিকে বিমান, সমুদ্র ও স্থলে সামরিক মহড়া শুরু করেছে। এই অঞ্চলে চীনের সামরিক ক্রিয়াকলাপের মধ্যেই এই মহড়া শুরু করে দেশ দুটি।
আজ সোমবার যুক্তরাজ্যের সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদনে বিষয়টি জানানো হয়।
রয়টার্স জানায়, গত মাসে সুগা জাপানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে এটিই তার প্রথম বড় মহড়া। পূর্ব চীন সাগরে জাপান-নিয়ন্ত্রিত দ্বীপপুঞ্জে চীনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামরিক শক্তি গঠন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সুগা।
কীন সোর্ড নামের এই সামরিক মহড়া প্রতি দুই বছর পর অনুষ্ঠিত হয়। এর সঙ্গে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক ডজন যুদ্ধজাহাজ, শত শত বিমান এবং ৪৬ হাজার সেনা, নাবিক ও মেরিন জড়িত। আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত এই মহড়া চলবে এবং এবারই প্রথমবারের মতো সাইবার এবং বৈদ্যুতিন যুদ্ধের প্রশিক্ষণ যুক্ত করা হয়েছে।
জাপানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার জেনারেল কোজি ইয়ামাজাকি বলেন, ‘জাপানের চারপাশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্রমশ গুরুতর হয়ে উঠছে। এই মহড়াটি জাপান-যুক্তরাষ্ট্র জোটের শক্তি প্রদর্শনের সুযোগ করে দেয়।’
দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে জাপানের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে চলতি মাসে সুগা ভিয়েতনাম এবং ইন্দোনেশিয়া সফর করেন। যাকে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং আমেরিকার অনানুষ্ঠানিক গোষ্ঠী ‘কোয়াড’-এর বৈঠকের পর চীনের ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক প্রভাবের বিরুদ্ধে ভালো উদ্যোগ হিসেবে দেখছে ওয়াশিংটন।
বেইজিং এটিকে ‘মিনি-ন্যাটো’ হিসেবে সম্বোধন করেছে এবং এর তিরস্কার করেছে।
এদিকে, পূর্ব চীন সমুদ্রের বিতর্কিত দ্বীপের চারপাশে চীনা নৌ-তৎপরতার উত্থান নিয়ে জাপান উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।
জাপানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার জেনারেল ইয়ামাজাকি ও মার্কিন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেভিন স্নাইডার চীনের সাম্প্রতিক ক্রিয়াকলাপের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। যেগুলো নিয়ে ওয়াশিংটন ও টোকিও চিন্তিত। তারা মনে করেন, হংকংয়ের নতুন নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে এই অঞ্চলের স্বায়ত্তশাসন ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে দক্ষিণ চীন সাগরে গত কয়েক মাস ধরে চীনা সেনাবাহিনীর দ্বারা হয়রানির শিকার হচ্ছে তাইওয়ান।
কিন্তু, চীন বলছে, তাদের লক্ষ্য এই অঞ্চলের শান্তি বজায় রাখা।
Comments