বাবার জন্য মানদ্বীপের আবেগময় ইনিংস

ম্যাচ শেষে প্রতিক্রিয়ায় তার কণ্ঠ হয়েছে আর্দ্র, বাবার জন্য ঝরেছে আবেগ।
Mandeep Singh
ছবি: আইপিএল ওয়েবসাইট

২৩ অক্টোবর মানদ্বীপ সিং পান ভয়ংকর খবর। জীবনের সবচেয়ে বড় আশ্রয় বাবা যে আর নেই। করোনাভাইরাস প্রটোকলের কারণে তার হুট করে ভারতে উড়ে যাওয়ার অবস্থাও ছিল না। শোক বুকে পুষে তাই পরদিনই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন। সোমবার রাতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ওপেন করতে নেমে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন পাঞ্জাবের ছেলে। ম্যাচ শেষে প্রতিক্রিয়ায় তার কণ্ঠ হয়েছে আর্দ্র, বাবার জন্য ঝরেছে আবেগ।

শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ১৪৯ রান করেছিল কলকাতা। রান তাড়ায় মায়াঙ্ক আগারওয়ালের জায়গায় অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের সঙ্গে নামেন মানদ্বীপ। মন্থর উইকেটে লোকেশ ফিরে যাওয়ার পর ক্রিস গেইলকে নিয়ে এই ডানহাতি দলকে নিয়ে যান জয়ের দিকে। গেইল ২৯ বলে ৫১ করে ফিরে গেলেও মানদ্বীপ রয়ে যান অপরাজিত।

তার ৫৬ বলে ৮ চার ২ ছক্কার ৬৬ রানই ইনিংস সর্বোচ্চ। শুরুতে সময় দিনে থিতু হওয়া এই ২৮ বছর বয়েসী ব্যাটসম্যান তাল পেয়েই হয়েছেন উত্তাল। ক্রিকেটীয় শটে দেখিয়েছেন টাইমিংয়ের মুন্সিয়ানা। দল জিতে ৮ উইকেটে।

ম্যাচ শেষে জানালেন, প্রতি ম্যাচে এমন ব্যাটিংই করতে বলতেন তার বাবা,    ‘আমার বাবা বলতেন প্রতি ম্যাচে তোমার নট আউট থাকা উচিত, যেটা আমি কাজ করার চেষ্টা করেছি। এমনকি আজ আমি রাহুলকে বলেছি যে আমাকে আমার খেলা খেলতে দাও, আমি যদি কিছু বল নেইও সেটা পুষিয়ে দলকে জিতিয়ে দিতে পারব। আমার মনে হয় বাবা আজ খুব খুশি যে আমি খেলেটা শেষ করতে পেরেছি।’

ঝড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হওয়া গেইলও জানান, মানদ্বীপের বাবাকে শ্রদ্ধা জানাতেই ম্যাচটা জিততে চেয়েছিলেন তারা, 'শেষ ম্যাচে বলেছিলাম, আমরা ওর (মানদ্বীপ) জন্য জিততে চাই। কি সুন্দর সে খেলল আজ। আকাশে তাকিয়ে দেখুন, তার বাবা তাকে আজ দেখেছেন। সত্যিই খুশি হয়েছে। এবং আমি আমার বাবাকে বলব, 'ভালোবাসি বাবা।''  

সোমবারের জয়ের পর পয়েন্ট টেবিলেও বেশ ভাল অবস্থানে এসে গেছে পাঞ্জাব। কলকাতাকে সরিয়ে তারা জায়গা করে নিয়েছে ৪ নম্বর। হাতে বাকি আছে আরও দুই ম্যাচ। মানদ্বীপ জানালেন ভালো খেলেও শুরুতে দুর্ভাগ্যের শিকার হচ্ছিলেন তারা। মানদ্বীপ এবার সেই 'ফাড়াও' কেটে গেছে,  ‘আইপিএলে আমরা সেরা একটা দল। আমাদের স্বাধীনতা নিয়ে খেলা দরকার। এখন খেলাটা আমাদের পক্ষে আসছে। শুরুতে আমরা দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছিল ভাল ক্রিকেট খেলেও। আমাদের খেলাটা শেষ করতে হবে। আমরা প্রক্রিয়া অনুসরণ করছি এবং ভাগ্যও আমাদের পক্ষে আছে।’

 

Comments

The Daily Star  | English

Mia, wife concealed assets in tax returns

When Asaduzzaman Mia retired as the longest-serving Dhaka Metropolitan Police commissioner in 2019, by his own admission, he went home with about Tk 1.75 crore in service benefits. But that does not give a true picture of his wealth accumulation. Fact is, the career cop and his family became muc

2h ago