রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামি আদালতে

Rifat_Child_Court_27Oct20.jpg
আজ মঙ্গলবার সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রিজন ভ্যানে ছয় আসামিকে আদালতে আনা হয়। ছবি: স্টার

বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামিকে আদালতে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এই মামলার রায় ঘোষণা করবেন আদালত। গত ১৪ অক্টোবর বরগুনা শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রিজন ভ্যানে ছয় জনকে আদালতে আনা হয়। বাকি আসামিরা আইনজীবীদের জিম্মায় ছিলেন। 

আসামিরা হলেন— মো. রাশিদুল হাসান রিশান ফরাজী (১৭), মো. রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার (১৫), মো. আবু আবদুল্লাহ রায়হান (১৬), মো. ওলিউল্লাহ অলি (১৬), জয় চন্দ্র সরকার চন্দন (১৭), মো. নাইম (১৭), মো. তানভীর হোসেন (১৭), নাজমুল হাসান (১৪), রাকিবুল হাসান নিয়ামত (১৫), মো. সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ মহিবুল্লাহ (১৭), মারুফ মল্লিক (১৭), প্রিন্স মোল্লা (১৫) রাতুল সিকদার জয় (১৬) ও আরিয়ান হোসেন শ্রাবণ (১৬)।

আসামি পক্ষের আইনজীবী গোলাম মোস্তফা কাদের বলেন, ‘আমরা আশা করি, আসামিরা বেকসুর খালাস পাবে। পূর্ণবয়স্ক আসামিদের মধ্যে চার জন খালাস পেয়েছেন। এরা যেহেতু শিশু, সে বিবেচনায় আদালত এদের খালাস দেবেন এটা আমরা আশা করছি।’

এক আসামির বড় ভাই এম এস রিয়াদ বলেন, ‘আমার ভাই নিরাপরাধ। সে কখনো কোনো অপরাধমূলক কাজে জড়িত ছিল না। পুলিশ অন্যায়ভাবে এই মামলায় জড়িয়েছে।’

গত ৩০ সেপ্টেম্বর রিফাত হত্যা মামলায় প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকাসহ ছয় জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।

গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ভাগে ভাগ করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। গত ৮ জানুয়ারি থেকে ১০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মোট ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় এ মামলায়।

আরও পড়ুন:

রিফাত হত্যায় মিন্নিসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

রিফাত হত্যা মামলা: অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির রায় ২৭ অক্টোবর

Comments

The Daily Star  | English

‘There’s no fish there’

Fishermen in Bhola borrow to celebrate Eid amid Hilsa crisis

1h ago