উত্তাল মেঘনায় গ্রীন লাইন-৩ এর ভয়ঙ্কর ৭ ঘণ্টা

বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে গত ২৩ অক্টোবর বরিশাল-ঢাকা রুটে চলা গ্রীণ লাইন-৩ লঞ্চটি বরিশাল নদীবন্দর থেকে ছেড়ে যায়। লঞ্চটিতে মোট ৮৩ জন যাত্রী ছিলেন। ঠিক তিন ঘণ্টা পরে মেঘনায় পৌঁছায় লঞ্চটি। মেঘনা তখন উত্তাল। বয়ে যাচ্ছে দমকা হাওয়া, সেই সঙ্গে বৃষ্টি।
Greenline_3.jpg
ছবি: সংগৃহীত

বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে গত ২৩ অক্টোবর বরিশাল-ঢাকা রুটে চলা গ্রীন লাইন-৩ লঞ্চটি বরিশাল নদীবন্দর থেকে ছেড়ে যায়। লঞ্চটিতে মোট ৮৩ জন যাত্রী ছিলেন। ঠিক তিন ঘণ্টা পরে মেঘনায় পৌঁছায় লঞ্চটি। মেঘনা তখন উত্তাল। বয়ে যাচ্ছে দমকা হাওয়া, সেই সঙ্গে বৃষ্টি।

ঝড়ের তাণ্ডবে লঞ্চের সামনের গ্লাস ভেঙে যায়। ডেকে বসার চেয়ারগুলো দুমড়ে-মুচড়ে যায়। বৃষ্টির পানিতে টইটুম্বুর হয়ে যায় গ্রীন লাইন-৩। এ সময় যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এভাবেই প্রায় এক ঘণ্টা লঞ্চ চলে।

লঞ্চের যাত্রী অর্ণব দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, মেঘনার বিশাল বিশাল ঢেউ এসে লঞ্চটিকে আঘাত করছে। যাত্রীরা আতঙ্কে চিৎকার করছেন। অনেকে লাইফ জ্যাকেট খুঁজছেন। ভয়ঙ্কর এক সময় কেটেছে।

লঞ্চের ব্যবস্থাপক হাসান সরদার বাদশা বলেন, লঞ্চ ছাড়তে কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না, যে কারণে আমরা যাত্রী নিয়ে রওনা হয়েছিলাম।

শওকত নামে আরেক যাত্রী বলেন, এই লঞ্চটি খুবই হালকা ধরনের। যে কারণে প্রবল বাতাস আর ঢেউয়ের আঘাতে ভয়ঙ্কর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল। বৈরী আবহাওয়ায় এ ধরনের হালকা লঞ্চ চলতে দেওয়া ঠিক না।

বরিশাল বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সাধারণত ৩ নম্বর সিগনালে অভ্যন্তরীণ লঞ্চ বন্ধ থাকে না। সে কারণে এই লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ছিল না।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago