‘আমি কারাগারে এ কথা এলো কোথা থেকে?’

দেবাশীষ বিশ্বাস। স্টার ফাইল ছবি

প্রতারণার অভিযোগে করা একটি মামলায় চলচ্চিত্র পরিচালক, উপস্থাপক দেবাশীষ বিশ্বাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। কিছুক্ষণ আটক থাকার পরই টাকা ফেরত দেওয়ার শর্তে বাদীর আইনজীবীর জিম্মায় জামিন মঞ্জুর হয় তার। জামিনের বিষয়টি দেবাশীষ বিশ্বাস নিশ্চিত করেছেন দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে।

তিনি বলেন, ‘আমি তো কারাগারেই যাইনি, আদালতে কিছুক্ষণ থেকে জামিন পেয়েছি। এখানে কারাগারের কথা আসলো কোথা থেকে। একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল এখন সব ঠিক আছে।’

অভিযোগে উল্লেখিত টাকা আগামীকাল বৃহস্পতিবার ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে  বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন বলে জানা গেছে।

দেবাশীষ বিশ্বাস আজ (বুধবার) ২৮ অক্টোবর আদালতে আত্মসমর্পণ করে তার বিরুদ্ধে হওয়া প্রতারণা মামলা থেকে জামিন আবেদন করেছিলেন। এ সময় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

তার কিছুক্ষণ পর আইনজীবী খন্দকার মুহিবুল হাসান আপিলের মাধ্যমে চুক্তি অনুযায়ী নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে পুনরায় জামিন আবেদন করেন। সেই শর্তে তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই পিএনটিভি ইউটিউব চ্যানেলের মালিক লিটন সরকার ইমন নামে একব্যক্তির সঙ্গে একটি বাণিজ্যিক চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী দেবাশীষ বিশ্বাসের মা গায়েত্রী বিশ্বাস প্রযোজিত চারটি বাংলা চলচ্চিত্র 'মায়ের মর্যাদা', শুভ বিবাহ, অপেক্ষা এবং অজান্তে ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করতে ৬০ বছরের জন্য ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায় কিনে নেয় পিএনটিভি ইউটিউব চ্যানেল।

তিনি ছবিগুলো ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করলে অন্য একটি ইউটিউব চ্যানেল কর্তৃপক্ষ তার চ্যানেল বন্ধ করে দেন। পরে খোঁজ নিয়ে বাদী জানতে পারেন ২০১৭ সালে এ চারটি চলচ্চিত্র ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করার আগেই অন্য কারো কাছে বিক্রি করেছিলেন। যার ফলে ওই ইউটিউব চ্যানেল কর্তৃপক্ষ কপিরাইট ইস্যুতে ছবিগুলো আপলোড করার পর লিটন সরকার ইমনের চ্যানেল বন্ধ করে দেয়।

২০১৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে লিটন সরকার ইমন বাদী হয়ে পরিচালকের নামে প্রতারণার মামলা করেন।

Comments

The Daily Star  | English

A transitional budget for troubled times

Govt signals people-centric priorities but faces tough trade-offs

2h ago