সোনাই বিলে মাছ ধরায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে

পাবনার সাথিয়া উপজেলার সোনাই বিলের অধিকাংশ জমির মালিকানা কৃষকদের। গত কয়েক মাসের টানা বন্যায় বিলের জমিতে কিছুই আবাদ করতে পারেনি কৃষকরা। বন্যা শেষেও বিলের জমিতে জলাবদ্ধতা থাকায় চাষের জমিতে ভেসে বেড়াচ্ছে নানান প্রজাতির দেশি মাছ। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকরা জলাবদ্ধ জমি থেকে মাছ ধরতে জাল ফেলেছে। তবে, তাদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক যুগলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
বন্যার পানি কমলেও জলাবদ্ধতার কারণে সোনাই বিলে ফসল চাষ করতে পারেননি কৃষকরা। ছবি: স্টার

পাবনার সাথিয়া উপজেলার সোনাই বিলের অধিকাংশ জমির মালিকানা কৃষকদের। গত কয়েক মাসের টানা বন্যায় বিলের জমিতে কিছুই আবাদ করতে পারেনি কৃষকরা। বন্যা শেষেও বিলের জমিতে জলাবদ্ধতা থাকায় চাষের জমিতে ভেসে বেড়াচ্ছে নানান প্রজাতির দেশি মাছ। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকরা জলাবদ্ধ জমি থেকে মাছ ধরতে জাল ফেলেছে। তবে, তাদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক যুগলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

জলাবদ্ধতার কারণে সোনাই বিল এখনো পানিতে ভরে আছে। ছবি: স্টার

সাথিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল আলম টুটুলের লোকজন বিলে মাছ ধরতে বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা।

সম্প্রতি এক কৃষককে বাজার থেকে তুলে নিয়ে মারধর করার অভিযোগও উঠেছে ওই যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। তবে, এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি। দলীয় নেতাদের মধ্যস্থতায় তা মীমাংসা হয়েছে।

সোনাই বিলের কৃষক মনসুর আলি অভিযোগ করে বলেন, ‘বিলের জমিতে মাছ ধরতে গেলে, জাল ফেলতে গেলে তার লোকজন বাধা দেয়। সরকারের কাছ থেকে বিল লিজ নিয়েছে বলে টুটুলের লোকজন আমাদের নিজেদের জমিতে নামতেও বাধা দেয়। তাদের ভয়ে এলাকার সাধারণ কৃষকরা নিজেদের জমিতে জাল ফেলতেও ভয় পায়।’

একই এলাকার কৃষক মাসুদ হোসেন বলেন, ‘গত সপ্তাহে আমার নিজের জমিতে মাছ ধরতে জাল ফেলতে গেলে টুটুলের লোকজন আমাকে সাথিয়া বাজার থেকে তুলে নিয়ে আটকে রেখে মারধর করে। এ ব্যাপারে মামলা দিতে গেলেও মামলা দিতে পারিনি।’

প্রভাবশালীদের চাপে বিষয়টি মীমাংসা করে নিতে বাধ্য হন বলে জানান তিনি।

এ প্রসঙ্গে সাথিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি টুটুলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে। তবে এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।’

বিলের দখল প্রসঙ্গে টুটুল বলেন, ‘বিলের ক্যানেল লিজ নিয়েছে নন্দনপুর এলাকার মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের কালিপদ হালদারসহ বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবী। এখানে আমার কোনো ভূমিকা নেই। বিলের ক্যানালে মাছ ছাড়ার সময় শুধু আমি বিলে গিয়েছিলাম। বিলের মাছের কারবারের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।’

তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা বলে তিনি দাবি করেন টুটুল।

সাথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জামাল আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে কৃষকরা আমার কাছে কোনো অভিযোগ করেননি। বিলের ক্যানেল লিজ দেওয়া হলেও চাষের জমি থেকে মাছ ধরতে কৃষকদের বাধা নেই।’

Comments

The Daily Star  | English

Labour bill put on the shelf

In an almost unheard-of move, President Mohammed Shahabuddin has sent a labour law amendment back to parliament for reconsideration, expressing concern over the proposed punishment of workers for wrongdoings.

4h ago