স্বাধীনতা পদক দিলেন প্রধানমন্ত্রী
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের আট বিশিষ্ট ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানের হাতে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২০’ তুলে দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২০’ প্রদান অনুষ্ঠানে তাদের হাতে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক নাগরিক সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ভূষিতদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
এবছর স্বাধীনতা পদক পেলেন— স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, কমান্ডার (অব.) আবদুর রউফ (মরণোত্তর), শহীদ বুদ্ধিজীবী মুহম্মদ আনোয়ার পাশা (মরণোত্তর) ও আজিজুর রহমান, চিকিৎসাবিদ্যায় অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. এ কে এম এ মুক্তাদির এবং সংস্কৃতিতে কালীপদ দাস ও ফেরদৌসী মজুমদার।
এ ছাড়া, শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারতেশ্বরী হোমস্কে স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়েছে।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বছর দেশের নয় বিশিষ্ট ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পদক দেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। তাতে সাহিত্যে এস এম রইজ উদ্দিন আহম্মদের নাম ছিল। সাহিত্যে তার অবদান নিয়ে প্রশ্ন উঠে। পরে তালিকা সংশোধন করে সেখান থেকে এস এম রইজ উদ্দিন আহম্মদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ২০১৯ সালে ১৩ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়। গত বছর পদক পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন— স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য শহীদ বুদ্ধিজীবী মোফাজ্জ্বল হায়দার চৌধুরী (মরণোত্তর), শহীদ এটিএম জাফর আলম (মরণোত্তর), এ কে এম মোজাম্মেল হক, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ড. কাজী মিসবাহুন নাহার, আব্দুল খালেক (মরণোত্তর), অধ্যাপক মোহাম্মাদ খালেদ (মরণোত্তর) ও শওকত আলী খান (মরণোত্তর), চিকিৎসা বিজ্ঞানে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নুরুন্নাহার ফাতেমা বেগম, সমাজসেবায় ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমেদ, সংস্কৃতিতে মুর্তজা বশীর, সাহিত্যে হাসান আজিজুল হক এবং গবেষণা ও প্রশিক্ষণে অধ্যাপক ড. হাসিনা খাঁন। এ ছাড়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাগ্রিকালচারকে (বিআইএনএ) গত বছর এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মার্চ এ বছরের স্বাধীনতা পুরস্কার ভূষিতদের হাতে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পদক তুলে দেওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে সেই কর্মসূচি বাতিল করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠান
Comments