মেসি অবসর নিলে টিভি ছুড়ে ফেলে দিবেন ভিয়েরি
গোল করেছেন। করিয়েছেনও। প্রতিপক্ষের অর্ধে ৬৫ পাসের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণই ছিল পাঁচটি। সবমিলিয়ে একাই তৈরি করেছেন ৬টি সুযোগ। এটাই ছিল আগের দিনের ম্যাচসেরা লিওনেল মেসির পরিসংখ্যান। তবে এমনটা যে শুধু গতকালই হয় তা নয়, অধিকাংশ ম্যাচেই তার পরিসংখ্যান এমনই থাকে। আর সে খেলোয়াড় যদি অবসর নিয়ে ফেলেন, তখন ফুটবল দেখার আগ্রহ অনেকেই হারিয়ে ফেলতে পারেন। তবে মেসি অবসর নিলে টিভিটাই ছুড়ে ফেলে দিবেন সাবেক জুভেন্টাস তারকা ক্রিস্তিয়ান ভিয়েরি।
আগের দিন জুভেন্টাসের ঘরের মাঠে ২-০ গোলের জয়ে পায় বার্সেলোনা। সবচেয়ে বড় কথা সাম্প্রতিক সম অয়ে নানা কারণে টালমাটাল দলটি অনেকটা একচ্ছত্র আধিপত্য দেখিয়ে ম্যাচ জিতে নিয়েছে। যদিও ব্যবধান তা বলে না। কিন্তু বার্সার খেলোয়াড়রা যদি মিসের মহড়ায় না নামতেন তা হলে নিশ্চিতভাবেই আরও বড় হতো ব্যবধান। আর তার মূল কারিগরই ছিলেন মেসি। তাই আরও একটি জাদুকরী ম্যাচে কোণঠাসা হয়ে পড়ে স্বাগতিকরা।
তবে বয়সটা ৩৩ পেরিয়েছে মেসির। আগের মতো ধার থাকলেও খুব বেশি দিন যে সেরা ছন্দে থাকবেন না, এটাই বাস্তবতা। তেমনি একদিন বুট জোড়াও তুলে রাখতে হবে। কিন্তু এ বাস্তবতা যেন মানতে পারছেন না ভিয়েরি। মেসিকে হ্যারি পটারের সঙ্গে তুলনা দিয়ে বলেন, 'অসাধারণ বার্সেলোনা। একেবারের একপেশে ম্যাচ। তারা ছয়-সাতটা গোল সহজেই করতে পারত। দুর্দান্ত খেলেছে। আর মেসি তো জাদুকর। সে ফুটবলের হ্যারি পটার। সে যেদিন খেলা বন্ধ করে দেবে আমিও আমার টিভি ছুড়ে ফেলে দেব। টিভির ধারেকাছেও যাব না। তখন নেটফ্লিক্স দেখব। সে খেলা ছাড়ার পর আসলে কিছু দেখারও থাকবে না।'
অসাধারণ খেলা এই বার্সেলোনাই ঘরের মাঠে এল ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে পাত্তাই পায়নি। জুভেন্টাসের সঙ্গে এমন দারুণ পারফরম্যান্সের পর সে কথা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না ভিয়েরি, 'এটা অন্যরকম ফুটবল। জানি না তারা রিয়াল মাদ্রিদের কাছে কীভাবে হেরেছে। কিন্তু এই ম্যাচটা যদি দেখেন (জুভেন্টাসের বিপক্ষে) আপনাকে বলতে হবে, এই বছর আর কোনো প্রতিপক্ষ তাদের হারাতে পারবে না! তারা যেভাবে খেলেছে অসম্ভব!'
'প্রতিটি ম্যাচই আলাদা। তবে যে বার্সেলোনাকে কাল সবাই দেখল অবিশ্বাস্য! যখন আপনি এমন একজন ১০ নম্বর পাবেন, এটা দুর্দান্তই হবে। দর্শকদের জন্য সমবেদনা, তাদের মাঠে এসে খেলা দেখার সুযোগ নেই। তবে দর্শকদের এমন দলের খেলা দেখতে দেওয়া উচিত।' -যোগ করে আরও বলেন সাবেক এ ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড।
Comments