সঞ্জয় দত্তকে নিয়ে বিশেষজ্ঞদের অভিমত

মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ এই পর্যায়ে ক্যান্সারকে হার মানাতে পেরেছেন!

ক্যান্সারকে হারিয়ে নভেম্বরে শুটিংয়ে ফিরবেন বলে ভারতের গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সঞ্জয় দত্ত। ক্যান্সার জয়ের এই খবরে তার ভক্তরা আনন্দিত হলেও, অনেকেই বলেছেন সিনেমার গল্পের মতো সহজ নয় ক্যান্সার জয়!
সঞ্জয় দত্ত। ছবি: সংগৃহীত

ক্যান্সারকে হারিয়ে নভেম্বরে শুটিংয়ে ফিরবেন বলে ভারতের গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সঞ্জয় দত্ত। ক্যান্সার জয়ের এই খবরে তার ভক্তরা আনন্দিত হলেও, অনেকেই বলেছেন সিনেমার গল্পের মতো সহজ নয় ক্যান্সার জয়!

কারণ, ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যান্সারের চতুর্থ পর্যায়ে ফুসফুস ক্যানসারের রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ ক্যান্সারের এই পর্যায়ে এসে হার মানাতে পেরেছেন বলে গত পাঁচ বছরের রিপোর্টে দেখা গেছে।

কিন্তু, সঞ্জয় দত্তের বিষয়টা পুরো উল্টো। তার শরীরে ক্যান্সার বাসা বাঁধলেও তিনি দমে যাননি। কেমোথেরাপি চলার সময়েও ‘শামসেরা’ নামের একটি ছবির শুটিং শুরু করেন। তার হাতে এখনো ৬টি ছবির কাজ আছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি ছবির কাজ শেষ করেছেন।

যদিও সঞ্জয়ের সমালোচকদের দাবি, তার বর্ণিল জীবনে এমন অনেক বানানো খবরের শিরোনাম হয়েছেন তিনি। কিন্তু, তার পরিবার, অনুরাগী ভক্তরা এমন খবরে দারুণভাবে আনন্দিত।

কিছুদিন আগে নিজের বাড়ীতে পূজা করেছেন সঞ্জয় দত্ত। সেই ভিডিও পোস্ট করেছেন তার স্ত্রী মান্যতা দত্ত।

ভিডিওর ক্যাপশনে মান্যতা লিখেছেন, ‘তুমি আমার শক্তি, তুমি আমার গর্ব, আমার রাম।’

গত ১২ আগস্ট প্রথম জানা যায়, ক্যান্সারে আক্রান্ত ৬১ বছর বয়সী সঞ্জয় দত্ত। চতুর্থ পর্যায়ে এসে ক্যান্সার ধরা পড়েছিল তার। এই রোগের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করে যাচ্ছেন তিনি। তার ক্যান্সারের খবরে উদ্বিগ্ন ছিল বলিউড। কিন্তু, তিনি লড়াই হাল ছাড়েননি। লড়াই করেছেন নিয়মিত।

এরপরেই ক্যান্সারকে হারিয়ে আগামী নভেম্বরেই কাজে ফিরবেন বলে জানান এই বলি অভিনেতা।

গত, ২১ অক্টোবর তার সন্তান ইকরা ও শাহরানের জন্মদিনে টুইটারে ক্যান্সার জয়ের কথা টুইট করেছিলেন তিনি। সেখানে পরিবার, বন্ধু, অনুরাগী, চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানান সঞ্জয় দত্ত।

আরও পড়ুন:

Comments

The Daily Star  | English

Three difficult choices to heal economy

Bangladesh yesterday made three major decisions to cushion the economy against critical risks such as stubborn inflation and depletion of foreign currency reserves.

2h ago