হাজী সেলিমের দখল থেকে তিব্বত হল ফেরতের দাবি জবি শিক্ষার্থীদের

ছবি: পলাশ খান

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীরা তিব্বত হল ফেরত পাওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের প্রায় ১২টি ছাত্রাবাস সংসদ সদস্য হাজী সেলিমসহ বিভিন্ন গোষ্ঠীর দখলে।

বৃহস্পতিবারের মানববন্ধনে ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক ও জবি শিক্ষার্থী মাহমুদ রাসেল মিশু বলেন, তিব্বত হলটি বর্তমানে হাজী সেলিমের দখলে। সে জায়গায় গুলশানারা সিটি নামে একটি শপিং মল তৈরি করা হয়েছে।'

মিশু অভিযোগ করেন, 'আমাদের সিনিয়ররা ২০১১ সাল পর্যন্ত তিব্বত হলের নামফলক ঝুলতে দেখেছে।'

বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী পদার্থবিজ্ঞানের স্নাতক শিক্ষার্থী তৌসিফ মাহমুদ বলেন, 'জবি কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে যে ছাত্রাবাসগুলো পুনরায় দাবি করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তাদের কাছে নেই। তবে, আমরা জানি যে তারা কমপক্ষে ছয়টি ছাত্রাবাস ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করতে পারে।'

দ্য ডেইলি স্টারে এর আগে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০০৭ সালে জবি কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি চিহ্নিত করতে একটি অডিট ফার্মকে নিয়োগ দেয়। মসিহ মুহিত হক অ্যান্ড কো. কনসোর্টিয়াম নামের ফার্মটি তাদের প্রতিবেদনে সুপারিশ করে যে বিশ্ববিদ্যালয়টি ছয়টি ছাত্রাবাস পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নিতে পারে। সেগুলো হলো--শহীদ আনোয়ার শফিক হল, শহীদ আজমল হোসেন হল, বানী ভবন, শহীদ শাহাব উদ্দিন হল, তিব্বত হল ও আবদুর রহমান হল।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছিল, তিব্বত হল অর্পিত সম্পত্তির ওপর নির্মিত।

মিশু অভিযোগ করেন, 'আমরা মনে করি, তারা তিব্বত হল পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে না। কারণ সেটি ক্ষমতাধরদের দখলে আছে।'

অধিগ্রহণকৃত দুটি ছাত্রাবাস আবদুর রহমান হল ও বানী ভবন একশ বছরেরও বেশি পুরানো বলে প্রাচীন নিদর্শন হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে।

জবি শিক্ষার্থীরা এর আগে ২০১৬ ও ২০১৪ সালে এই দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। ২০১৪ সালে তিব্বত হলের সামনে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয় দুর্বৃত্তরা হামলা চালালে অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছিল।

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

4h ago