নারায়ণগঞ্জে বিস্ফোরণ: এবার মসজিদ কমিটির সভাপতি গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুল গফুরকে (৬৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার ফতুল্লা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জে বিস্ফোরণ ঘটা মসজিদের সিঁড়ির নিচে মাটি খুঁড়ে গ্যাসের পাইপ লাইনের সন্ধান পাওয়া গেছে। ছবি: স্টার

নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুল গফুরকে (৬৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার ফতুল্লা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বাইতুস সালাত জামে মসজিদ বিস্ফোরণে ৩৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিআইডির নারায়ণগঞ্জ বিশেষ পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহম্মেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘মসজিদ কমিটির সভাপতি আবদুল গফুর দীর্ঘ দিন যশোরে আত্মগোপনে ছিলেন। তাকে আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে শনাক্ত করেছি। গত রাতে তিনি যশোর থেকে নারায়ণগঞ্জে আসেন। বাস থেকে নামার পরই তাকে আমরা গ্রেপ্তার করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিস্ফোরণের ঘটনায় গাফিলতি থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।’

মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে সিআইডি ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকা থেকে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা অঞ্চলের আট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করে। তারা বর্তমানে জামিনে আছেন। পশ্চিম তল্লা এলাকা থেকে ২০ সেপ্টেম্বর মোবারক হোসেন (৩৫) নামে বিদ্যুতিক মিস্ত্রিকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।

গত ৪ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৯টায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও শিশু সহ ৪০ জন দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়। দগ্ধদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৫ সেপ্টেম্বর ফতুল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ন কবির বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটির তদন্ত ভার সিআইডিকে দেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago