মিয়ানমার হয়ে চীনের সঙ্গে সড়ক ও রেল যোগাযোগ

মিয়ানমার হয়ে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপনে চীনা দূতাবাসকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম শিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত 'বাংলাদেশ-চীন উন্নয়ন সহযোগিতা: অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গি' শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

শাহরিয়ার আলম বলেন, 'আমরা দুই দেশের মধ্যে মিয়ানমার হয়ে রেল ও সড়ক যোগাযোগের জন্য ঢাকার চীনা দূতাবাসের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ করেছি।'

বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এর মাধ্যমে আমাদের অন্যান্য আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন সহজ হবে।'

২০১৩ সালে প্রস্তাবিত সিল্ক রোড ইকোনমিক বেল্ট ও একবিংশ শতাব্দীর মেরিটাইম সিল্ক রোডের (বিআরআই) লক্ষ্য ছিল প্রাচীন সিল্ক রুট ধরে এশিয়ার সঙ্গে ইউরোপ ও আফ্রিকার বাণিজ্য ও অবকাঠামোগত নেটওয়ার্ক তৈরি করা।

চীনের 'ঋণের ফাঁদে' আটকে যাওয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে শাহরিয়ার আলম বলেন, 'চীন বাংলাদেশের মোট বৈশ্বিক ঋণের একটি ক্ষুদ্র অংশই দিয়েছে।'

চীনের সহযোগিতা বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'দেশের সমৃদ্ধিতে ভবিষ্যতে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও গভীর হবে।'

ওয়েবিনারে চীন ও বাংলাদেশ উভয় পক্ষের বক্তারা দুই দেশের সম্পর্ক আরও নিবিড় করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং উচ্চ প্রযুক্তি যেমন ফাইভ জি টেলিযোগাযোগ, উচ্চ গতিসম্পন্ন রেলপথ, মহাকাশ ও সুনীল অর্থনীতিতে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের সহযোগিতার বিষয়ে আশাবাদ জানান।

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি অত্যন্ত আশাবাদী।'

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Terrorism Act

Govt issues ordinance amending Anti-Terrorism Act

Activities of certain entities, and activities supporting them can now be banned

1h ago