ওয়াকারের গোলে জিতল ম্যানচেস্টার সিটি
উঠানামার মধ্য দিয়ে লিগ শুরুর করেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। নিজেদের সেরা ছন্দ পেতে সংগ্রাম চলছিল তাদের। আগের ম্যাচে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে পয়েন্টও খুইয়েছিল তারা। লিগের শুরুতে লাগা গেরো খুলতে দরকার ছিল বড় জয়। শেফিল্ড ইউনাইটেডের মাঠে গিয়ে আগ্রাসী ফুটবল খেলেও অবশ্য এক গোলের বেশি পায়নি পেপ গার্দিওয়ালার দল।
শনিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে জয়সূচক একমাত্র গোল আসে কাইল ওয়াকারের পা থেকে।
ম্যাচের শুরু থেকেই প্রভাব বিস্তার করে খেলেছে সিটি। তৈরি করেছে একের পর এক সুযোগ। এগিয়ে যেতে পারত ১৩ মিনিটেই। কেভিন ডি ব্রুইনার কর্নার থেকে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি এমেরিক লাপোর্তে। ১৯ মিনিটে রদ্রিগোর নেওয়া দুর্দান্ত দূরপাল্লার শট অসাধারণ ক্ষিপ্রতায় বাঁচিয়ে দেন শেফিল্ডের গোলরক্ষক।
তিন মিনিট পর নিশ্চিত সুযোগ নষ্ট করেন ফেরান তোরেস। রহিম স্টার্লিংয়ের মাইনাস পেয়েছিলেন ফাঁকায়। তার সামনে কেবল গোলরক্ষক। কিন্তু দুর্বল বাধা পায় শেফিল্ডের গোলরক্ষকের পায়ে।
অবশ্য এই চাপেই কাবু হয়েছে শেফিল্ড। একের পর এক আক্রমণে ধরাশায়ী হয় তারা। ২৮ মিনিটে ডি ব্র্যুইনার কাছ থেকে বক্সের ঠিক সামনে ফাঁকায় বল পেয়ে যান ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকার। তার ডান পায়ের মাটি কামড়ানো মাপা শট জড়িয়ে যায় জালে।
বিরতির পরও একই ধারায় এগিয়েছে খেলা। নিজেদের মাঠে বলার মত তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি শেফিল্ড। পুরোটা সময় সিটির আক্রমণ সামলাতে হয়েছে তাদের। তবে চাপ রেখেও আরেক গোলের দেখা পাননি স্টার্লিং ডি ব্রুইনারা।
দ্বিতীয়ার্ধেও সিটিকে হতাশ করেন শেফিল্ডের কিপার অ্যারন রামসদাল। ৫২ মিনিটে ফেরান তোরেস দারুণ সুযোগ পেয়েও পরাস্ত করতে পারেননি রামসদালকে।
৮৪ মিনিটেও রিয়াদ মহারেজের নেওয়া কর্নারে তৈরি সুযোগ ভেস্তে যায় রামসদালের দৃঢ়তায়। শেষ পর্যন্ত এক গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় জায়ান্ট সিটিকে।
৬ ম্যাচের তিন জয়, দুই ড্রয় আর এক হারে ১১ পয়েন্ট জড়ো হলো সিটির। টেবিলের সাত নম্বরে আছে শিরোপা প্রত্যাশী দলটি। প্রতিপক্ষ শেফিল্ড এই হারের পর আছে ১৯ নম্বরে।
Comments