জুয়েলকে হত্যার ঘটনা তদন্তে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সীমান্তবর্তী বুড়িমারীতে মসজিদের ভেতর ঢুকে কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে মো. সহিদুন্নবী জুয়েলকে (৫০) প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা তদন্ত করছে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
আজ রোববার সকালে বুড়িমারী স্থলবন্দরে পাশে ঘটনাস্থল বুড়িমারী বাজারে আসেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অভিযোগ ও তদন্ত বিভাগের পরিচালক আল মাহমুদ ফাউজুল কবিরসহ তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম। কমিটি বুড়িমারী জামে মসজিদ, ইউনিয়ন পরিষদ, পুড়ানোর স্থান পরিদর্শন করে প্রত্যক্ষদর্শীসহ বিভিন্নজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করছেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অভিযোগ ও তদন্ত বিভাগের পরিচালক আল মাহমুদ ফাউজুল কবির সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন প্রশ্ন নিয়ে মাঠে কাজ করছি। আমাদের প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করার পর এ ঘটনায় উদঘাটিত তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে।’
তদন্ত কমিটির প্রশ্নগুলোর মধ্যে রয়েছে— নিহত জুয়েল ও তার বন্ধু বুড়িমারীতে কেন এসছিলেন; নিহত জুয়েল কোরআন অবমাননা করেছিলেন কি না; আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি জুয়েলকে হঠাৎ করে কেন মারধর শুরু করেছিলেন; তাকে যখন মারধর করা হচ্ছিল, তখন তার সঙ্গে থাকা অপর লোকটি তাকে রক্ষার চেষ্টা করেছিলেন কি না; ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হাফিজুল নিহত জুয়েলকে অন্য স্থানে না সরিয়ে দীর্ঘক্ষণ পরিষদে আটকে রেখেছিলেন কেন; পুলিশকে কেন অনেক পরে খবর দেওয়া হয়েছিল; বহিরাগত লোকজন কার ডাকে কোথা থেকে এসেছিল; এবং এ ঘটনায় কারো প্ররোচনা আছে কি না। তদন্ত কমিটি এসব প্রশ্নসহ আরও বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে কাজ করছে।
কমিশন তদন্ত করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিবে বলেও জানান আল মাহমুদ ফাউজুল কবির।
জুয়েলের বাড়ি রংপুর শহরের শালবাগান এলাকায়। তার বাবা মৃত আবদুল ওয়াজেদ মিয়া। জুয়েল রংপুর ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে পড়ালেখা করেছেন। তার স্ত্রী ও এক কন্যা ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন:
জুয়েলকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ৩ মামলা, গ্রেপ্তার ৫
লালমনিরহাটে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা তদন্তে কমিটি
Comments