পাঞ্জাবকে বিদায়ের সঙ্গী করল ধোনির দল
মহেন্দ্র সিং ধোনি এবার আক্ষেপ করতেই পারেন। এই ছন্দটা যদি পেতেন টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে। দলের কম্বিনেশনটা যদি মিলত আরেকটু আগে। আরও এক ম্যাচ বেশি জিতলেও তো পরের রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল থাকত তাদেরও। তবে ধোনির আক্ষেপের চেয়েও লোকেশ রাহুলদের হতাশার গল্পই আবুধাবিতে বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।
চেন্নাই সুপার কিংসের পরের রাউন্ডের আশা শেষ হয়েছিল বেশ আগে। শেষ ম্যাচটা তাদের জন্য ছিল কেবল নিয়মরক্ষার। উলটো দিকে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই। সেই লড়াইয়ে পাঞ্জাব হেরেছে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে। চেন্নাইর সঙ্গে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে তাদেরও।
অথচ টুর্নামেন্টে রোমাঞ্চকর ক্রিকেট খেলে আসর মাত করেছিল পাঞ্জাব। টুর্নামেন্টে তিনবার সুপার ওভার খেলেছে দলটি। তারমধ্যে এক ম্যাচেই দুবাই। দুই সুপার ওভারের ইতিহাস গড়া ম্যাচে দুর্দান্ত জয়ও পেয়েছিল তারা।
আসরের নিজেদের প্রথম ম্যাচটাই সুপার ওভারে যায় তাদের। সেই ম্যাচটা নিয়েই হয়ত বেশি হাহাকার ঝরবে বলিউড তারকা প্রীতি জিনতার দলের। আম্পায়ার ভুল করে তাদের এক রান না কমালে যে মূল ম্যাচেই দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারাত তারা।
রোববার আবুধাবিতে টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে সব গড়বড় হয়ে যায় পাঞ্জাবের। টুর্নামেন্টের সেরা দুই ব্যাটসম্যান লোকেশ রাহুল আর মায়াঙ্ক আগারওয়াল জুতসই শুরু আনলেও তা বেশিদূর আগায়নি। দ্রুত পথ হারিয়ে অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল তারা। ছয়ে নামা দিপক হুডা ৩০ বলে ৬২ করলে দেড়শো পেরোয় পূঁজি।
কিন্তু রান তাড়ায় চেন্নাইর প্রথম তিন ব্যাটসম্যানের সঙ্গেই পেরে উঠেনি পাঞ্জাবের বোলাররা। ফাফ দু প্লেসি ৩৪ বলে ৪৮ করে ফেরার পর ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ৪৯ বলে করেন ৬২। তার সঙ্গে মিলে ৩০ বলে ৩০ রান করে খেলা শেষ করে দেন আম্বাতি রাইডু।
Comments