কোভিড রোগী প্রতি সরকার গড়ে দেড় থেকে ৫ লাখ টাকা ব্যয় করছে: মন্ত্রী

জাহিদ মালেক। ফাইল ফটো

করোনা মহামারিতে দেশে সরকারি হাসপাতালে একজন কোভিড রোগীর জন্য সরকার গড়ে দেড় লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ব্যয় করছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা দিতে সরকার প্রতিদিন একজন করোনা রোগীর পেছনে সাধারণ বেডে সাড়ে ১৫ হাজার টাকা ও আইসিইউ বেডে প্রতিদিন ৪৭ হাজার টাকা ব্যয় করছে। এভাবে একজন কোভিড রোগীর জন্য সরকার গড়ে দেড় লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ব্যয় করছে।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ আয়োজিত ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস ২০২০’ পালন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলেও আতঙ্কিত হবার কারণ নেই। সম্মিলিতভাবেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করা হবে।’

তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। আমাদের দেশে আগামী শীত মৌসুমে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হবার ব্যাপারে কথা হচ্ছে। ‘তবে, আমরা সরকারিভাবে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। স্বাস্থ্যখাতের পাশাপাশি সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয়ও কোভিড নিয়ে কাজ শুরু করেছে।’

দেশে করোনার ভ্যাকসিন আনা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ভ্যাকসিন আনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুতই এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি তানভীর হাসান ইকবাল, সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. মোসাদ্দেক হোসেন সিদ্দিকী ও মহাসচিব ডা. মো. জয়নুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:

হাসপাতালে করোনা রোগীপ্রতি সরকারের খরচ ১৫ থেকে ৪৭ হাজার টাকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ভ্যাকসিন আনতে দু-চার দিনের মধ্যে চুক্তি হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Comments

The Daily Star  | English

ICT investigators submit report against Hasina, 2 others

The charges stem from the violent crackdown during the July 2024 mass uprising

1h ago