সাভারে পোশাক শ্রমিক ও আনসার সদস্যদের সংঘর্ষে আহত ২০

সাভারে ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ডিইপিজেড) এর একটি বন্ধ কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে ডিইপিজেডের নিরাপত্তায় থাকা আনসার বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
Savar_DS_Map.jpg
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

সাভারে ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ডিইপিজেড) এর একটি বন্ধ কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে ডিইপিজেডের নিরাপত্তায় থাকা আনসার বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

আজ সোমবার সকালে বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে এ ওয়ান বিডি নামের ওই বন্ধ কারখানার প্রায় তিন শতাধিক শ্রমিক ডিইপিজেড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে ভেতরে ঢুকতে চাইলে সেখানকার কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা তাদের বাধা দেন। এসময় শ্রমিকদের সঙ্গে আনসার সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় বলে পুলিশ জানায়।

ঢাকা শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সানা শামীনুর রহমান জানান, ডিইপিজেডে শ্রমিকদের আনসার সদস্যরা ধাওয়া দিলে শ্রমিকরা মহাসড়কে অবস্থান নেয়। মহাসড়ক সচল রাখতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।

তবে, পুলিশের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের মারধর করা হয়নি বলে দাবি তার।

কারখানার এক শ্রমিক দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ডিইপিজেড কর্তৃপক্ষ কয়েক মাস ধরে আশ্বাস দিচ্ছিলেন যে, কারখানা বিক্রি করে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হবে। আজ কারখানাটি নিলাম হওয়ার কথা ছিল। এজন্য তিনিসহ কারখানার প্রায় ৩০০ শ্রমিক ডিইপিজেড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে যান। এ সময় ডিইপিজেড এর আনসার সদস্যরা তাদের মূল ফটকে আটকে দেয় ও লাটিপেটা করে। এতে অনেক শ্রমিক আহত হন।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, শ্রমিকদের ওপর আনসার সদস্য ও পুলিশের হামলায় অন্তত ১৫ জন শ্রমিক মারাত্মক আহত হয়েছেন।

ডিইপিজেড এর মহাব্যবস্থাপক আবদুস সোবাহান বলেন, শ্রমিকেরা ডিইপিজেড এর সামনে অবস্থান নেওয়ার পর, কয়েকজন কর্মকর্তা তাদের সঙ্গে কথা বলতে যান। এ সময়, বেশ কিছু শ্রমিক আনসার সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত পাঁচ জন আনসার সদস্য আহত হন।

Comments

The Daily Star  | English

S Alam sons: They used fake pay orders even to legalise black money

Ashraful Alam and Asadul Alam Mahir, two sons of controversial businessman Mohammed Saiful Alam, deprived the state of Tk 75 crore in taxes by legalising Tk 500 crore in undisclosed income, documents obtained by The Daily Star have revealed.

5h ago