যে পথে গেলে পরের আইপিএলে চারশো রান করবেন ধোনি
আইপিএলের ইতিহাসের সেরা পারফর্মারদের একজন হয়েও এবার বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। নানান পরিস্থিতিতে ব্যাট করেও রান পাননি। দলের চাহিদা মেটানোর মতো স্ট্রাইকরেটও রাখতে পারেননি। তবু আইপিএলের পরের আসরেও খেলার কথা জানিয়ে রেখেছেন তিনি। তবে তা করতে হলে ধোনিকে উপায় বাতলে দিয়েছেন সাবেক দুই ক্রিকেটার কপিল দেব ও সুনীল গাভাস্কার।
এবার ১৪ ম্যাচ খেলে মাত্র ২০০ রান করেছেন তিনি। স্ট্রাইক রেট কেবল ১১৬.২৭! আসেনি একটিও ফিফটি। আইপিএলে তার ১৩ আসরের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বাজে ফল। তার দল চেন্নাইও এই প্রথম উঠতে পারেনি প্লে অফে।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কদিন আগে হাসপাতালে ছিলেন কপিল। সুস্থ হয়ে এবিপি নিউজকে সাক্ষাতকারে ধোনির আইপিএল টু আইপিএল ভ্রমণের বিষয়ে কথা বলেছেন, ‘ধোনি যদি মনে করে প্রতি বছর কেবল আইপিএল খেলবে, মাঝে আর কিছু খেলবে না। তাহলে তার পক্ষে পারফর্ম করা অসম্ভব। বয়স ৩৯ হয়ে গেছে। এই বয়সে যত বেশি খেলবে তত শরীর খাপ খাবে।’
‘আপনি ১০ মাস ক্রিকেট না খেলে আইপিএলে নামলে বেহাল অবস্থায় পড়তেই হবে। ধোনির উচিত ঘরোয়া অন্য টুর্নামেন্টগুলো খেলা।’
একই মত আরেক সাবেক কিংবদন্তি সুনিল গাভাস্কারের। তিনি ব্যাখ্যা করে জানিয়েছেন কেবল ফিটনেস ঠিক রেখেই কেন নিজেকে তৈরি রাখা কঠিন, ‘নেটে অনুশীলন করা ভাল। তবে তার যা বয়স, রিফ্লেক্স দিন দিন কমতে থাকবে। বয়সের সঙ্গে টাইমিংয়ে প্রভাব পড়ে। হয়ত জিম করে ওজন কমাতে পারে, ফিটনেস বাড়তে পারে। কিন্তু টাইমিংয়ে সমস্যা রয়েই যাবে। বলের কাছে গিয়ে শট খেলাটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
ভারতে আইপিএলের বাইরেও সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফি ও আন্ত-রাজ্য টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ নামের দুটো টুর্নামেন্ট হয়। প্রথম শ্রেণীতে চালু আছে রঞ্জি ট্রফি, দুলিপ ট্রফি ও ইরানি ট্রফি। বিজয় হাজারে ট্রফিতে হয় ৫০ ওভারের টুর্নামেন্ট।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ায় ধোনির সামনে এসব টুর্নামেন্টে খেলার অবারিত সুযোগ ও সময় পড়ে আছে। গাভাস্কার বলছেন এসব ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা চালু রাখলে পরের আইপিএল মাত করবেন ধোনি, ‘ওর উচিত ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা। নেটে আপনি কখনই ম্যাচের অনুভূতি পাবেন না। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেট যত খেলবে, তত লাভ। যদি সে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে সামনের মৌসুম তবে পরের আইপিএল ও চারশো রান করবে।’
Comments