রংপুরে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ, এএসআই ৫ দিনের রিমান্ডে
রংপুরে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এএসআই রায়হানুল ইসলামসহ দুই নারীর রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্ত্তী শুনানি শেষে রায়হানুল ইসলামের পাঁচ ও সুমাইয়া আক্তার মেঘলা ওরফে আলেয়া এবং সুরভি আক্তার ওরফে সমাপ্তির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযুক্ত রায়হানুলকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানালে বিচারক আজ বুধবার শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন।
এদিন ওই দুই নারীকেও আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন। তিনি বলেন, অধিকতর তদন্তের স্বার্থে আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়।
এই মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামি বাবুল হোসেন (৩৮) ও আবুল কালাম আজাদ গত ২৮ অক্টোবর দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রংপুরের হারাগাছ থানার অধীন ময়নাকুঠি কচুটারি এলাকার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তোলেন মহানগর ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলাম। পরিচয়ের সময় রায়হানুল তার ডাক নাম রাজু বলে জানান ওই ছাত্রীকে। প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ওই ছাত্রীকে গত ২৩ অক্টোবর সিগারেট কোম্পানির ক্যাদারের পুল এলাকায় সুমাইয়া আক্তার মেঘলা ওরফে আলেয়ার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন রায়হানুল।
পরে ২৪ অক্টোবর রাতে ভাড়াটিয়া মেঘলা ও তার সহযোগী সুরভি আক্তারের সহায়তায় বাবুল ও কালাম তাকে ধর্ষণ করেন। ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে পুলিশ সদস্য রায়হানুল ইসলাম ওরফে রাজু ও মেঘলার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হারাগাছ থানায় মামলা করেন। অধিকতর তদন্তের স্বার্থে মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়।
Comments