রিমান্ড শেষে কারাগারে ইরফান সেলিম
নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে লাঞ্ছিত করার মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষীর জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
মামলার দুই দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আজ বুধবার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপপরিদর্শক মবিনুল হক দুজনকে আদালতে হাজির করেন। পরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা মবিনুল হক এক প্রতিবেদনে বলেন, ইরফান ও তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে রাখার জন্য আদালতে আবেদন করেন তিনি।
ইরফান ও জাহিদের বিরুদ্ধে চকবাজার থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরও দুটি করে মামলা আছে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ অক্টোবর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় চার আসামির নাম উল্লেখ করা হয় এবং ৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
মামলার পর ২৬ অক্টোবর রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজার থানাধীন দেবিদাস ঘাট লেন হাজী সেলিমের পৈত্রিক বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইরফান ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। অভিযানে তাদের বাসা থেকে বিদেশি মদ ও অবৈধ ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়।
পরে অবৈধ ওয়াকিটকি ও মাদক রাখার দায়ে ইরফান সেলিমকে দেড় বছরের এবং ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে তার দেহরক্ষী জাহিদকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
২৭ অক্টোবর ইরফান সেলিমকে কাউন্সিলর পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯ এর ২ ও ১৩ ধারার অধীনে নৈতিক স্খলন ও অসদাচরণের বিধানে কাউন্সিলর ইরফানের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় এই আইনের ১২ ধারা অনুযায়ী তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
আরও পড়ুন:
ইরফান সেলিমের আরও ২ দিনের রিমান্ড
ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক মামলা
ভ্রাম্যমাণ আদালতে ইরফান সেলিমের ১ বছরের কারাদণ্ড
Comments