‘মাস্টারক্লাস’ উইলিয়ামসনের স্তুতিতে ওয়ার্নার

লক্ষ্য ছিল নাগালের মধ্যেই। তবে উইকেট ছিল না অতো সহজ। ১৩২ রান রান তাড়ায় গিয়ে সানরাজার্স হায়দরাবাদ ১২তম ওভারে ৬৭ রানে হারায় ৪ উইকেট। ক্রমশ চাপ বাড়তে থাকা অবস্থায় মাথা ঠাণ্ডা রেখে পরিস্থিতি সামলান কেইন উইলিয়ামস। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক দারুণ এক ইনিংস খেলে শেষ ওভারে দলকে পাইয়ে দেন জয়। অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার তার ব্যাটিংকে বলছেন 'মাস্টারক্লাস'।
শুক্রবার আইপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের আশা টিকিয়ে রেখেছে সানরাইজার্স। রোববার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষেত তাদের ফাইনালে যাওয়ার লড়াই।
উইলিয়ামস ২ চার, ২ ছক্কায় করেছেন ৪৪ বলে ৫০ রান। তবে তার ইনিংসের মাহাত্ম এতেই বোঝা যাবে না। বেঙ্গালুরুর বোলাররা তৈরি করেছিলেন চাপ। ওভারপ্রতি রান নেওয়ার তাড়াও বাড়ছিল দ্রুত। চারে নামা উইলিয়ামসন পরিস্থিতি পড়লেন ভালভাবে। সহজে রান বের করা যাচ্ছে না দেখে মুন্সিয়ানা দেখালেন তার টেকনিকের। নান্দনিক সব শটে তাক লাগিয়ে পরিস্থিতি আনলেন নিজের দিকে।
শেষ ৩ ওভারে ২৮ রানের প্রয়োজনটা জেসন হোল্ডারকে নিয়ে কোন রকম অস্থিরতায় না ভুগেই উঠিয়েছেন তিনি। ম্যাচ শেষে তাই অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের কণ্ঠে উইলিয়ামসনের প্রতি ঝরল প্রশংসার ভান, ‘কেইন আমাদের ব্যাঙ্কার। কী মাস্টারক্লাস খেলোয়াড় সে! সব সময় গভীরে গিয়ে পথ বের করে আনে। যখনই আমরা সমস্যায় পড়ি, সে দাঁড়িয়ে যায় এবং চাপের মধ্যে একটা ইনিংস খেলে দেয়। নিউজিল্যান্ডের হয়ে বছরের পর বছর সে তা করে চলেছে। তার উচ্চতা নিয়ে যথেষ্ট বলতে পারছি না।’
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হাসেনি ওয়ার্নারের ব্যাট। মানিষ পান্ডেও থিতু হয়ে শেষ করতে পারেননি। এক সময় তাই চিন্তাতেই পড়েছিলেন সানরাইজার্স অধিনায়ক, ‘দেখেন এটা কঠিন খেলা ছিল। আরসিবির মতো দলের বিপক্ষে তো অবশ্যই সহজ না। উইকেটটাও একটু কঠিন ছিল। কোন লক্ষ্য তাড়া করাই এখানে সহজ না।’
তবে সানরাইজার্সের হয়ে বড় কাজটা করে দেন তাদের বোলাররাই। বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডার ছিলেন অসাধারণ। ওপেন করতে নেমা কোহলি আর দেবদূত পাড়িকালকে ১৫ রানের ভেতরই ফিরিয়ে দেন তিনি। ৪ ওভারের স্পেলে মাত্র ২৫ রান দিয়ে তুলেন ৩ উইকেট। তার তোপে এবিডি ভিলিয়ার্স আর অ্যারন ফিঞ্চ ছাড়া রান পাননি কেউই। প্রতিপক্ষকে ১৩১ রান আটকে দিয়েও ওয়ার্নার যুজভেন্দ্র চেহেল আর অ্যাডাম জাম্পার লেগ স্পিনের জন্যই চিন্তায় ছিলেন, ‘তাদের নাগালের মধ্যে আটকে রাখা আমাদের জন্য ছিল চ্যালেঞ্জের। তাদের বিশ্বমানের দুজন লেগ স্পিনার আছে, কাজেই কাজটা সহজ ছিল না।’
Comments