নোয়াখালীতে আ. লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত আব্দুল হকের মৃত্যু, আটক ২

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নোয়াখালীর সদরের এওয়াজবালিয়া ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধের জেরে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত আব্দুল হক (৪৮) মারা গেছেন।

আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার কেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়। নিহত আব্দুল হক এওয়াজবালিয়া ইউনিয়নের করমূল্যা গ্রামের মৃত আমিন উল্যার ছেলে। তিনি এওয়াজবালিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।

নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শামীম কবির শনিবার দুপুরে দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শামীম কবির।

ওই সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাতে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে ৫৪ ধারায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) টমাস বড়ুয়া জানান, নিহত আওয়ামী লীগ নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের পর যদি আটক দুই ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয় তাহলে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

টমাস বড়ুয়া আরও জানান, ওই এলাকায় শুক্রবার সকাল থেকে ১০জন পুলিশ মোতায়েন আছে। আবদুল হকের মৃত্যুর সংবাদের পর এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।

উল্লেখ্য, আবদুল মান্নান ওরফে মান্নান মেম্বার ও স্থানীয় কালাদরাপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল ডাক্তারের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জেরে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বাবুল ডাক্তার ও মান্নান মেম্বারের অনুসারীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে ২০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় আবদুল হককে ও কামাল উদ্দিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল।

আরও পড়ুন: 

নোয়াখালীতে আ. লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago