বায়ার্নের কাছে হারের পর বুদ্ধি খুলল ডর্টমুন্ড তারকার
জার্মান বুন্ডেসলিগার সবচেয়ে বড় ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে গেছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে পেরে না ওঠার পর নিজের ঘাটতি বুঝতে পেরেছেন দলটির তরুণ স্ট্রাইকার এরলিং হালান্ড। আরও বেশি বেশি গোল করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন এই নরওয়েজিয়ান।
হালান্ডের গোল করার সামর্থ্য নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। মাত্র ২০ বছর বয়সেই প্রতিপক্ষের গোলরক্ষকদের জন্য সমীহ জাগানো এক নামে পরিণত হয়েছেন তিনি। শনিবার রাতে বায়ার্নের বিপক্ষেও জালের দেখা পান তিনি। কিন্তু ৮৩তম মিনিটের ওই লক্ষ্যভেদের আগে আরও তিনটি সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন তিনি। ফলে গতি আর দক্ষতা দিয়ে হালান্ড আরও একবার নজর কাড়লেও হার এড়াতে পারেনি তার দল।
ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘আমাকে আরও গোল করতে হবে। এই পর্যায়ে এসে যদি সুযোগ কাজে লাগাতে না পারি, তাহলে আমরা জিততে পারব না।’
দুই পরাশক্তির দ্বৈরথে ঘরের মাঠ সিনিয়াল ইদুনা পার্কে প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল ডর্টমুন্ড। ৪৫তম মিনিটে গোল করেন মার্কো রয়িস। তবে স্বাগতিকদের উল্লাস টেকেনি বেশিক্ষণ। বিরতির আগেই আসরের শিরোপাধারী বায়ার্নকে দারুণ এক ফ্রি-কিকে সমতায় ফেরান ডেভিড আলাবা।
বায়ার্নের আগ্রাসী রূপটা দেখা যায় দ্বিতীয়ার্ধে। ৪৮তম মিনিটে হেড করে অতিথিদের লিড পাইয়ে দেন ছন্দের চূড়ায় থাকা রবার্ট লেভানডভস্কি। দলের পরের গোলেও অবদান রাখেন এই পোলিশ স্ট্রাইকার। ৮০তম মিনিটে তার পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে গড়ানো শটে স্কোরলাইন ৩-১ করেন লেরয় সানে। তিন মিনিট পর হালান্ড ব্যবধান কমালেও বাভারিয়ানদের জয়ের পথে বাধা হতে পারেননি।
গত মৌসুমে ট্রেবল জেতা বায়ার্নকে বিশ্বের সেরা দল হিসেবে অভিহিত করে হালান্ড যোগ করেছেন, ‘তারা বিশ্বের সেরা ক্লাব। তাদের মতো ভালো হওয়ার জন্য পরবর্তী ধাপে পা দিতে হলে আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে।’
সাত ম্যাচে ছয় জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে বুন্ডেসলিগার শীর্ষে রয়েছে বায়ার্ন। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তাদের ঠিক পেছনেই আরবি লাইপজিগ। তিনে থাকা ডর্টমুন্ডের পয়েন্ট ১৫।
Comments